post

ইসলামী আন্দোলনে আত্মগঠন ও দক্ষ নেতৃত্ব সময়ের অপরিহার্য দাবি

মোবারক হোসাইন

২৩ জুন ২০১৬
ভূমিকা : আত্মগঠন ও দক্ষ নেতৃত্ব ইসলামী আন্দোলনের অন্যতম হাতিয়ার। বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে দক্ষ জনশক্তির বিকল্প নেই। Elder L. Tom Perry said, ÒWe live in a world that is crying for righteous leadership based on trustworthy principles.” নৃবিজ্ঞান বলে মানুষ তার নিজ প্রয়োজনে এককভাবে জীবন পরিচালনার পরিবর্তে সমাজবদ্ধভাবে বসবাস এবং পরিচালনা শুরু করেছে সে-ই আদিম সময় থেকে। তখনই দেখা দিয়েছে ঐ সমাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজন নিজেকে তৈরি ও একজন পরিচালকের বা নেতার প্রয়োজনীয়তা। সুতরাং সেই সমাজে ব্যক্তির বীরত্বই তাকে নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করেছে। কারণ মাঝি ছাড়া যেমন নৌকা চলে না তেমনি নেতা বা নেতৃত্ব ছাড়া সমাজ, দেশ, জাতি চলতে পারে না। সংগঠনের সকল পর্যায়েই তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যোগ্যতার কোন বিকল্প নেই : বিপ্লবের সফলতার জন্য নিজেকে যোগ্য করে গড়ে তোলা অপরিহার্য। আল্লাহর রাসূল (সা) সাহাবীদের মধ্যে আন্তরিকতা ও যোগ্যতার অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন। আত্মা কাকে বলে আত্মগঠন : নিজের প্রচেষ্টায় নিজের জীবনকে ইসলামী বিপ্লবের উপযোগী করে কাক্সিক্ষত মানে দক্ষ ও ত্যাগী হিসেবে গড়ে তোলার নামই হচ্ছে আত্মগঠন। #    আত্মা শব্দটি বাংলা, আরবিতে যাকে äÝÓ ও ÑæÍ বলা হয়। #    কারো কারো মতে পাশবিকতাকে ব্ধন্স” বলে আর ঈমানিয়াতকে ÑæÍবলে। #    ÑæÍ  হলো আল্লাহর আদেশ মাত্র, যা ছাড়া মানুষ বাঁচে না। #    আত্মার অপর নাম প্রাণ, তাই যার প্রাণ আছে তাকে প্রাণী বলা হয়। #    কিন্তু মানুষকে প্রাণী বলা হয় না, মানুষের আসল পরিচয় হলো আশরাফুল মাখলুকাত। #    কোন প্রাণীর মধ্যে বিবেক নেই, শুধু মানুষের বিবেক আছে। #    নিজের নফসের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা। #    আত্মাকে নিজের যোগ্যতা দিয়ে ব্যবহার করা। #    নফসের বিপরীত চলার ক্ষমতা রাখা। #    নফসের গোলাম না হওয়া এবং নফসকে নিজের আয়ত্তে নিয়ে আসা। অর্থ : “মানুষের আত্মার শপথ ! আর শপথ সেই সত্তার যিনি মানুষের আত্মাকে পরিপূর্ণ রূপ দিয়েছেন, অতঃপর তাকওয়া ও ফিস্ক-ফুজুরের অনুভূতি ও বিচারশক্তি দিয়েছেন। মানুষের মধ্যে যারা এই নফস ও আত্মাকে তাজকিয়া করে তারাই সফলকাম হয়। আর যারা অবদমিত করে তারাই ক্ষতিগ্রস্ত ও ব্যর্থ হয়।” (সূরা আস্ শামস : ৭-১০) অর্থ : মানুষের কাছে আমি দু’টি পথ তুলে ধরেছি। একটি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ও আনুগত্যের পথ আরেকটি কুফরি এবং নাফরমানির পথ। (সূরা আদ্ দাহর : ৩) অর্থ : সেই স্বভাবধর্মের অনুসরণ করো, যে স্বভাবধর্মের ওপর মানবজাতিকে সৃৃষ্টি করা হয়েছে। (সূরা আর রূম : ৩০) অর্থ : অতঃপর আমার পক্ষ থেকে হেদায়াত আসবে, যারা এর অনুসরণ করবে তাদের ভয়ের কোন কারণ নেই, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়ারও কারণ নেই। (সূরা আল বাকারাহ : ৩৮) অর্থ : হে পরিতৃপ্ত আত্মা! ফিরে এসো তোমার রবের সমীপে-খুশি মনে, সন্তুষ্টচিত্তে। অতঃপর আমার বান্দা, আমার অনুগত বান্দাদের মধ্যে শামিল হও এবং জান্নাতে প্রবেশ করো। (সূরা আল ফাজর : ২৭-৩০) অর্থ : হে রাসূল! তোমার প্রতি তোমার রবের পক্ষ থেকে যা নাজিল করা হয়েছে তা যথাযথভাবে পৌঁছিয়ে দাও। যদি এমনটি না করো তাহলে তোমার প্রতি অর্পিত রেসালাতের দায়িত্ব তুমি পালন করনি বলেই বিবেচনা করা হবে। আল্লাহ তোমাকে মানুষের অনিষ্টকারিতা থেকে হেফাজত করবেন। বিশ্বাস কর আল্লাহ কাফেরদেরকে সাফল্যের পথ কখনই দেখাবেন না। (সূরা আল মায়েদা : ৬৭) আমি কাফেরদের জন্য তৈরি করে রেখেছি লোহার শিকল ও দোজখের আগুন। নেক লোকেরা বেহেশতে সুপেয় পানি দ্বারা আপ্যায়িাত হবে-যাতে মিশানো থাকবে সুগন্ধিযুক্ত কর্পূর। এটা হবে একটা প্রবাহিত ঝর্ণাধারা, যার পানি থেকে আল্লাহর বান্দাগণ শরাব পান করবে, যেখানে যেভাবে চায় এর শাখা প্রশাখা খুলতে পারবে। (সূরা আদ্ দাহর : ৪-৬) আত্মগঠনের গুরুত্ব : ১. নেতৃত্বের পরিবর্তনের জন্য ২. উপযোগী নেতৃত্ব তৈরি ৩. নেতৃত্বের ব্যাপারে আল্লাহর নিয়ম আত্মগঠনের দায়িত্ব হচ্ছে নিজের ১. দৃঢ ও আন্তরিক সিদ্ধান্ত ২.অনবরত নিরলস প্রচেষ্টা ৩. ঊর্ধ্বতন সংগঠনের আয়োজনে সম্পৃক্ত থাকা আত্মা কত প্রকার ও কী কী? আত্মা ৩ প্রকার : যথা- #    নফসে আম্মারা-যা মানুষকে সর্বদা মন্দ পথে ধাবিত করা। #    নফসে লাওয়ামা-যা ভাল ও মন্দ উভয় দিকে ধাবিত করে। #    নফসে মুতমায়িন্নাহ-যা মানুষকে সর্বদা ভাল পথের সন্ধান দিবে। আত্মগঠনের উদ্দেশ্য #    আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। #    আন্দোলনের জন্য। #    দেশের জন্য। #    যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য। #    জাহান্নামের আজাব থেকে বাঁচার জন্য #    জান্নাত লাভের জন্য #    দুনিয়ার কল্যাণের জন্য #    মানবতার মুক্তির জন্য #    সত্যের সাক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবার জন্য । আত্মগঠনের পদ্ধতি প্রথমত, ব্যক্তিগতভাবে- #    ইবাদাত : নামাজ ও বন্দেগির অনুভূতি #    সকল কাজে আল্লাহকে স্মরণ করা ও রাসূলের সা. ওপর দরুদ পড়া #    আত্মসমালোচনা #      সাউম পালন করা #    অধ্যয়ন : কুরআন, হাদিস, সাহিত্য, সমসাময়িক জ্ঞান ও বিজ্ঞান #    যোগ্যতার বিকাশ সাধন #    বিশেষ যোগ্যতা অর্জন : ভাষা জ্ঞান, প্রযুক্তিগত জ্ঞান, তথ্য জ্ঞান, #    দান করার প্রবণতা #    সময়ের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। #    পরামর্শ গ্রহণ ও সমালোচনা না করা #    আত্ম সচেতনতা সৃষ্টি #    প্রচন্ড লজ্জাবোধ থাকা #    সবর করা #    নিরহঙ্কারী হওয়া #    ধীরচিত্ত হওয়া #    গোপনীয়তা রক্ষা করা #    মধ্যমপন্থা অবলম্বন করা #    অল্পে তুষ্ট থাকা #    ওয়াদা ঠিক রাখা ও আমানত রক্ষা করা #    অন্তর্দৃষ্টি-কোন বিষয়ের গভীর উপলব্ধি করা। দ্বিতীয়ত, সাংগঠনিকভাবে- #    টার্গেটভিত্তিক দাওয়াতি কাজ #    টার্গেটভিত্তিক মানোন্নয়ন #    নির্ভেজাল আনুগত্য #    ভ্রাতৃত্ববোধ #    শৃঙ্খলাবোধ #    ত্যাগ-কোরবানি #    অগ্রাধিকার দান #    মর্যাদা রক্ষা #    সাহসী ভূমিকা #    শাহাদাতের জজবা সৃষ্টি করা তৃতীয়ত, পরিহার করতে হবে- ষ    গিবত ও চোগলখোরি ষ    গোয়েন্দাগিরি ষ    বেশি কথা বলার অভ্যাস ষ    প্রতিক্রীয়াশীল আচরণ ষ    অতিরিক্ত হালকা ও অতিরিক্ত ভাবগাম্বির্যতা ষ    ডিক্টেট করার মানসিকতা পরিহার। ষ    মেজাজ দেখানো। ষ    অহঙ্কার ও গৌরব। ষ    অশালীন কথা ও ভাষা ষ    আন্দাজ-অনুমান ষ    হিংসা-বিদ্ধেষ ষ    রাগ বা গোস্বা ষ    যুক্তবিহীন কথা ষ    বক্রচিন্তা পরিহার করা ষ    বৈঠকগুলো শর্ট করা ষ    সমালোচনা ষ    উপহাস করা ষ    অহেতুক বিতর্ক পরিহার করা ষ    কাউকে আন্ডার-ইস্টিমেট করা ষ    ভারসাম্যহীন মেজাজ ষ    কুধারণা ষ    শরমিন্দা করা আত্মগঠন দু’দিকে হতে হবে- ১- পার্থিব। ২- পারলৌকিক। পার্থিব ও পারলৌকিক আত্মগঠন - ষ    আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ ও আমাদের প্রস্তুতি ষ    Field specify করে প্রস্তুতি নেয়া। ষ    ঝোঁক-প্রবণতা দেখে জীবনের লক্ষ্য ঠিক করা। ষ    High ambition আত্মগঠনের প্রথম সবক। ষ    দৃঢ়সিদ্ধান্ত ও কঠোর অধ্যবসায়ীরাই আজ ইতিহাসের উজ্জ্বল নক্ষত্র। ষ    মুমিনের প্রতিটি কাজই পারলৌকিক প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ। মানুষের জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক : চরিত্র- ক- সচ্চরিত্র গঠনে প্রতিবন্ধকতা ও সাম্প্রতিক প্রবণতা সমূহ। খ- প্রতিজন নবীর অন্যতম কাজ ছিল সচ্চরিত্র গঠন। গ- চরিত্রবানরাই সর্বত্র সফল। ঘ- যোগ্যতা ও সচ্চরিত্রের সমন্বয়। ঙ- চরিত্রবান লোকের শূন্যতা পূরণ করতে শিবিরের ভূমিকা ও আগামীর প্রত্যাশা। চ- আমাদের মডেল রাসূল (সা)। ছ- সর্বপর্যায়ে তাকওয়ার মডেল উপস্থাপন করা। আত্মগঠন করতে হবে ৩টি বিষয়ের সমন্বয়ে- ১.    ব্রেন/আইন বিভাগ ২.    নফস বা আত্মা/বিচার বিভাগ ৩.    দেহ/প্রশাসন বিভাগ একটি রাষ্ট্র চালাতেও মৌলিক ৩টি বিষয় বা উপাদান দরকার হয়- ১. আইন বিভাগ ২.বিচার বিভাগ ৩. প্রশাসন বিভাগ আত্মগঠনের উপায় ১.শারীরিক উদ্যোগ ক. নিয়মিত শরীরচর্চা খ. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা গ. অলসতা দূর করা ঘ.পরিমিত ঘুম ঙ.পরিশ্রমপ্রিয়তা ২. জ্ঞানগত উদ্যোগ ক.    অ্যাকাডেমিক জ্ঞান খ. সাংগঠনিক জ্ঞান ৩. অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান ক.    ইসলামী জ্ঞান (কুরআন, হাদিস, ইসলামী সাহিত্য ) খ.    অন্যান্য জ্ঞান- পাঠ্যপুস্তক গ.    তুলনামূলক অধ্যয়ন ৩. আমলি উদ্যোগ ক.    মৌলিক ইবাদাতসমূহ যথাযথভাবে আদায় করা খ.    সর্বাবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ “তোমরা আল্লাহর রঙ এ রঙিন হও ।” গ.    উন্নত নৈতিক চরিত্র ঘ.    সঠিকভাবে আত্মসমালোচনা ঙ.    সর্বাবস্থায় প্রীতিপূর্ণ ব্যবহার খ.    সুন্দর আচরণ (মানুষের সাথে হাসিমুখে কথা বলাটাও একটা ইবাদত- হজরত আলী রা:) গ.    মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দেয়া (ইদফা‘বিল্লাতি হিয়া আহসান) ৪. দক্ষতা অর্জন ক.    ভাষা জ্ঞান খ.    কম্পিউটার/তথ্যপ্রযুক্তি গ.    অন্যান্য টেশনিক্যাল নলেজ আত্মগঠন কিভাবে হবে? ৩টি কাজ- ১. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি ২. আল্লাহর পথে আহ্বান ৩. মৌলিক মানবীয় গুণাবলি অর্জন। আল্লাহর সাথে সম্পর্ক তৈরি ১.    কুরআন, হাদিস, ইসলামী সাহিত্য নিয়মিত অধ্যয়ন করা। ২.    বিনয় ও নম্রতার সাথে নামাজ আদায় করা। ৩.    সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ /জিকির করতে হবে। ৪.    নৈশ ইবাদত : আল্লাহর সাথে গভীর ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। (সূরা ফুরকান- শেষ রুকু) ৫.    কষ্ট স্বীকার করে আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয়। (সূরা সফ : ১০-১২) ৬.    আত্মসমালোচনা : যথানিয়মে করতে হবে। হাদিস- ধ্বংস তার জন্য যার আজকের দিনটি গতকালের চেয়ে ভালো হলো না। আল্লাহর পথে আহ্বান ১. মওদুদী (রহ) বলেছেন, যারা আল্লাহর পথে দাওয়াত দেন তারা বিনা পয়সায় নিজেকে সংশোধন করতে পারেন। ২.এতে জ্ঞান ও যোগ্যতা বৃদ্ধি পায়। মৌলিক মানবীয় গুণাবলি অর্জন ১. ইচ্ছাশক্তি ২.পরিশ্রমপ্রিয়তা ৩. সংযমী ৪.কষ্টসহিষ্ণুতা ৫. উত্তম ব্যবহার ৬. সময়ানুবর্তিতা ৭. সূক্ষ্মদর্শিতা ৮. দূরদর্শিতা ৯.দায়িত্বজ্ঞান ১০.আত্মবিশ্বাস ১১.স্থিরচিত্ততা ১২.কর্তব্যনিষ্ঠা ১৩.ক্ষিপ্রতা ১৪.অধ্যবসায় ১৫.নির্ভীকতা ১৬. বাগ্মিতা ১৭.সময়জ্ঞান ১৮.সময়ানুবর্তিতা ১৯.নিয়মানুবর্তিতা ২০.বিশ্বাসযোগ্যতা ২১.ন্যায়নিষ্ঠতা ২২.মিশুকতা ২৩.অমায়িকতা ২৪.সমবেদনা ২৫.বদান্যতা ২৬. আত্মত্যাগ ২৭.উদারচিত্ততা ২৮.সহনশীলতা ২৯.অতিথিপরায়ণতা ৩০. সংগঠনমনস্কতা আত্মগঠনের উপাদান ষ    কুরআন অধ্যয়ন ষ    হাদিস অধ্যয়ন ষ    ইসলামী সাহিত্য অধ্যয়ন ষ    জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রাধান্য অর্জন ষ    জ্ঞানের ঘাটতি নেতৃত্বের আসন থেকে দূরে নিক্ষেপ করে ষ    জ্ঞান ছাড়া পৃথিবীর নেতৃত্ব সম্ভব নয় ষ    বাগদাদের লাইব্রেরি ধ্বংস: মুসলিম নেতৃত্ব অপসারিত। আত্মোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন Development steps-1 Step-1 : Know thyself Be enlightened : Read-Learn-Understand-Actualize-Practice Read selective things Development steps-2 Step-1 : Make a plan Long term plan Short term plan Development steps-3 l    Plan for career l    Profession : l     Survival / Spiritual l    Degree l    Diploma l    Good grade l    Good skills l    Reading-Writing-Listening- Speaking Technological Development Social career Development Participations l    Know your field l    Begin at childhood l    Social work Development steps-4 Common things to achieve Be Good speaker Speak correct Spell out correct Express correct Be good writer Write correct Precise Note Check Finalize Be Good Listener Be Good Manager Manage time Manage emotion Manage your family Manage yourself Manage others Self Actualization Ehsan Taqwa Islam Iman ÒNo Islam except organization, no organization except leadership and no leadership except obedience”- (Al-Hadith) নেতৃত্ব শব্দের অর্থ ব্যাপক। ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো Leadership যা lead শব্দ থেকে এসেছে। অর্থ #    পথ দেখানো (To guide) #    চালিত করা (To conduct) #    আদেশ করা  (To direct) ইত্যাদি। #    A leader is he, who knows the way, goes the way and shows the way. #    নেতৃত্ব (Leadership) lead-to show the way by going first  প্রথমে অগ্রসর হইয়া পথ দেখানো। #        Guidance given by going first or infront. leadership involve guiding or conducting a group of people #    সাধারণ অর্থে নেতৃত্ব হচ্ছে একজন ব্যক্তি মানুষের নানান গুণাবলির সমাবেশের মাধ্যমে একটি দলের বা গোষ্ঠীর কিংবা একটি সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমন্বিত পরিচালনা। নেতৃত্বের সমীকরণ L=f(l. f. s) অর্থাৎ L= Leadership(নেতৃত্ব) f = function(কার্যাবলি) l = Leader (নেতা) f = followers (অনুসারী) s = situation (অবস্থা) Role of leadership L–    He/she - Leads - Vision towards the attainment of goals and objectives. E–    He/she - Educates - About goals, objects, programs, techniques, ways and means, different thoughts. A–    He/she – Accommodates/Advices - To be on right path, to be consistent, while necessary. D–    He/she – Decides/Directs/Delegates - Through Shura (consultation), takes plan, executes in each and every action, to take right decision. E–    He/she – Encourages/Evaluates/Enriches/Enhanced - To fight and overcome, to stick to the policies, in any occurred position. R–    He/she – Reminds/Reports - When workers/ followers go astray to the upper leadership. leadership model follow USA” be, know, do” that means leader always awareness Be prepared. First things first. Don't avoid problems. : Maintain focus on your purpose. নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্য #    নেতা দায়িত্বের ওপর আয়েশকে স্থান দেবেন না। #    নেতা রাগ বা বিদ্বেষভাবে, স্বজনপ্রীতি বা স্বেচ্ছাপ্রীতিতে কাজ করবেন না। #    নেতা হবেন কাজ ও সম্মানের পথপ্রদর্শক। #    নেতা অবশ্যই হবেন মিতব্যয়ী, দুর্নীতিমুক্ত। তার মধ্যে তার নিজস্ব পেশার ও কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে। #    নেতা হবেন গাম্ভীর্যপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। #    নেতা তার অধস্তন নেতাদের সাথে তিন ভাবে যোগাযোগ করবেন- ক) তার দেয়া নির্দেশের মাধ্যমে    খ) তার পাওয়া তথ্যের মাধ্যমে গ) তার পরিদর্শনের মাধ্যমে। #    গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক তথ্যের জন্য নেতা কখনও কখনও ব্যক্তিগতভাবে পরিদর্শন করবেন। #    সত্যিকার নেতা তার কৃতকর্মের দায়কে সর্বদাই কাঁধে নিতে প্রস্তুত থাকবেন। #    নেতা অবশ্যই জানবেন কখন, কিভাবে, কী করতে হবে। #    মহান নেতা হচ্ছেন মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী। #    ধৈর্যধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণতা। #    সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা। #    পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা। #    জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। #    দলীয় কারণে প্রচন্ড আবেগ। #    শৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতা। #    পরিস্থিতি বিশ্লেষণ। #    ক্ষমা করা। #    প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মী বাহিনী গঠন। #    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার। #    বক্তৃতায় পারদর্শিতা অর্জন। #    দূরদর্শিতা ও মনোবল। #    অন্যকে বোঝার কৌশল। ইসলামী সংগঠনে নেতৃত্বের কাঠামো ইসলামী সংগঠনে একটি বিশেষ নেতৃত্ব কাঠামো আছে। আল্লাহর রাসূল (সা)-এর বাণী এবং আসহাবে রাসূলের অনুশীলন আমাদেরকে ইসলামী সংগঠনের নেতৃত্ব কাঠামো সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়। রাসূল (সা)-এর জীবনের শেষ ভাগে সাহাবাগণ মুসলিম উম্মাহ্র পরবর্তী নেতৃত্ব সম্পর্কে তাকে জিজ্ঞাসা করেন। তারপর কে নেতা হবেন এটাই ছিল তাদের জিজ্ঞাসা। মূলত কোন ব্যক্তি নেতা হলে ভালো হবে রাসূল (সা)-এর কাছে এটাই জানতে চেয়েছিলেন। রাসূল (সা) বলেছেনÑ “তোমরা যদি আবু বকরকে নেতা বানাও তাহলে তাকে পাবে আমানতদার, দুনিয়ার প্রতি নির্মোহ এবং আখেরাতের প্রতি আকৃষ্ট। তোমরা যদি ওমরকে নেতা বানাও তাহলে তাকে পাবে শক্তিধর, আমানতদার এবং সে আল্লাহর ব্যাপারে কোনো প্রকার দুর্নামকারীর পরোয়া করে না। আর যদি আলীকে নেতা বানাও তাহলে তাকে পাবে পথপ্রদর্শনকারী হিসেবে, সে তোমাদের সঠিক পথে চালাবে। (মুসনাদে আহমদ) ইসলামী নেতৃত্বের গুণাবলি #    বুদ্ধিভিত্তিক ও মানসিক শক্তি #    সমকালীন রাজনীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা: #    যোগাযোগের দক্ষতা: #    উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী। #    দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাবান হওয়া : #    দৃঢ়সঙ্কল্প ও সাহসিকতা #    নেতা হবেন রহমদিল ক্ষমাশীল #    নেতা হবেন অল্পে তুষ্ট এবং ত্যাগী #    বৈরী শক্তির মোকাবেলায় বিজ্ঞানসম্মত পন্থা উদ্ভাবন। #    সময়ানুবর্তিতা #    অগ্রাধিকার জ্ঞান #    সঙ্কট মোকাবেলায় সামর্থ্যবানমুত্তাকি এবং ত্যাগ- কোরবানিতে অগ্রগামী #    কথা ও কাজের সামঞ্জস্য: মানুষ তাদের নেতাকে যেমনটি দেখতে চায় #    উন্নত নৈতিকতা ও নির্মল চরিত্রের অধিকারী #    জ্ঞানী, প্রজ্ঞাবান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন #    দৃঢ়চিত্ত ও সাহসী #    অসাধারণ সততা ও যোগ্যতার অধিকারী #    চিন্তাশীল ও উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী #    নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও সুমধুর ব্যবহারের অধিকারী #    পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সঙ্কট ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী #    ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের প্রতীক #    অধ্যবসায়ী, সাধক ও পরিশ্রমী #    সহনশীল, উদার ও পরিপক্ব #    নির্লোভ ও নির্মোহ #    সংগঠন পরিকল্পনা ও শৃঙ্খলা বিধানে পারদর্শী #    আস্থাভাজন ও অসহায়ের আশ্রয়দানকারী #    উদ্যোগী ও সক্রিয় #    আকর্ষণীয় ও শৈল্পিক মনোবৃত্তির অধিকারী নেতৃত্বের অভ্যাসগত বৈশিষ্ট্য #    সময় কিভাবে ব্যয় হচ্ছে। #    ফলাফলের ওপর গুরুত্ব প্রদান। #    দুর্বলতা দূর করার দিকে নজর দিতে হবে। #    কতিপয় প্রধান ব্যাপারে পরিশ্রম ও সাধনা কেন্দ্রীভূত করা উচিত যা ভাল ফল দেবে। #    আল্লাহর ওপর নির্ভরশীলতা শূরাপদ্ধতি ইসলামী নেতৃত্বের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো মজলিসে শূরা ইসলামী নেতৃত্বের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। আল্লাহ তাআলা নেতাকে নির্দেশ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। নেতার নির্দেশ পালন করা তার অনুসারীদের জন্য ফরজ বা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। কিন্তু সেই সাথে এককভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার নেতাকে দেয়া হয়নি বরং পরামর্শ গ্রহণ করাকে বাধ্যতামূলক করে দিয়েছেন। “ওয়াললাযিনা ....... লি রাব্বিহিম ওয়া আকামুস্সালাতা ওয়া আমরুহুম ............... বাইনাহুম ওয়া মিম্মা রাযাকনাহুম ইউনফিকুন।” অর্থাৎ যারা নিজেদের খোদার হুকুম মানে, নামাজ কায়েম করে, নিজেদের যাবতীয় ব্যাপার পারস্পরিক পরামর্শের ভিত্তিতে সম্পন্ন্ করে, আমি তাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। (আশ শূয়ারা : ৪২ : ৩৮) ইসলামী নেতৃত্ব নির্বাচনপদ্ধতি #    আল্লাহ্ ও রাসূল (সা) এর প্রতি আনুগত্য। #    খোদাভীতি। #    আদর্শের সঠিক জ্ঞানের পরিসর। #    সাংগঠনিক প্রজ্ঞা। শৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতা। #    মানসিক ভারসাম্য। #    উদ্ভাবনী ও বিশ্লেষণীশক্তি। #    কর্মের দৃঢ়তা। #    অনড় মনোবল। #    আমানতদারিতা এবং #    পদের প্রতি লোভহীনতা। নেতৃত্ব থেকে মুসলমানদের বিচ্যুতির কারণ #    মুসলমানরা কুরআন থেকে দূরে সরে আসা। #    আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানে অবদান না রাখা। #    বিলাসপ্রিয় হওয়া। #    অন্যের সভ্যতা গ্রহণ করা। #    জ্ঞান চর্চা না করা। #    ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থা না হওয়া। #    ইসলাম থেকে রাজনীতি আলাদা করা। ষ    ইসলামের ইতিহাস না পড়া। ষ    আল্লাহ্র ওপর ভরসা না থাকা। নেতার ১০টি দোষাবলি #    আল্লাহ্র সন্তুষ্টির কথা না ভেবে লোক দেখানো কাজ করা। #    অলস, কর্মবিমুখ ও দায়িত্বহীন মনোভাব। #    আত্মাকে নিয়ন্ত্রণ ও আত্মদাম্ভিকতা। #    কর্মীদের প্রতি কঠোর মনোভাব। #    কুরআন-হাদিসের জ্ঞানের অভাব। #    কর্মীদের মধ্যে শ্রেণীবিভাগ। #    দায়িত্বকে ক্ষমতা মনে করা। #    কর্মীদের সঠিকভাবে পরিচালনা না করা। #    কথা ও কাজের মধ্যে মিল না থাকা। #     নিজের দোষ সহজে স্বীকার না করা। সতরাং আমরা বলতে পারি ইতিহাসের সব যুগেই এক শ্রেণীর লোকের সন্ধান পাওয়া যায় যারা দেশ, সমাজ ও জাতিকে পরিচালনা করে থাকে। আজ সমাজ পরিবর্তনে প্রয়োজন নিজেকে সঠিকভাবে তৈরি ও যোগ্য নেতৃত্ব। এ নেতৃত্বের মডেল মুহাম্মদ (সা)। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে আগামী দিনের দেশ ও সমাজ পরিচালনায় নিজেকে দক্ষভাবে তৈরি এবং সঠিক নেতৃত্ব দান করার তাওফিক দান করুক। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির