post

সম্পাদকীয়

২৯ অক্টোবর ২০১৫
আয় বুঝে ব্যয় করা এমন প্রবাদ প্রবচন প্রচলিত থাকলেও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট পেশ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী এম এ মুহিত অনেক কিছু বদলে দিলেন। অবশ্য অর্থমন্ত্রী এটিই তার জীবনের শ্রেষ্ঠ বাজেট বলে মনে করেন। তবে এ নিয়ে সুশীলসমাজ থেকে শুরু করে আমজনতা পর্যন্ত মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এবারের বাজেটকে আখের গোছানোর বিলাসী বাজেট বললে অত্যুক্তি হবে না। ঋণ করে চিকন চালের ভাত খাওয়া সরকারের সামর্থ্যরে চেয়ে ঋণের প্রতি ঝোঁক প্রবণতা অনেক বেশি। এবারের বাজেট টানাপড়েনের সংসারে হাতি পোষার মতো। সরকার জনগণের নিকট থেকে বিভিন্ন খাতে অর্থ আদায়ের প্রস্তাবনা পেশ করলেও জনগণের কষ্ট লাঘবের কোনো সুখবর নেই। প্রস্তাবিত বাজেটের ধরন দেখে অনুমেয় যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাবে। ঢাকা শহরে শ্রমিক, মজুর, মধ্যবিত্ত, নি¤œমধ্যবিত্ত যারা ভাড়া বাড়িতে থাকেন তাদের বাসা ভাড়া বেড়ে যাবে, গণপরিবহনের ভাড়া, বিদ্যুৎ গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে। সরকার জনতার বুকে যে ভ্যাটের চাবুক জারি করেছে তাতে জনজীবনে চরম দুর্ভোগ ও অস্থিরতা নেমে আসবে। সরকার জনগণকে তোয়াক্কা না করে চড়া মূল্যের ভ্যাট নির্ধারণ করে আবারও প্রমাণ করলো জনগণের সাথে সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। এমন আকাশ-কুসুম কল্পনাবিলাস বাজেট কারো কাম্য ছিল না। খোদ রাজধানীতেও এখন তীব্র লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত নগরবাসী। আর প্রত্যন্ত অঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ কঠিনতর। তবে এই লোডশেডিংয়ের সমাধান বোধ হয় কারো জানা নেই। বিদ্যুৎ বিভাগের জন্ম যেন বিকলাঙ্গতা নিয়ে। জনগণ কেবল জানতে চায় লোডশেডিং থেকে কবে রেহাই পাবে। বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে আমাদের জাতীয় জীবনে বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না, তদুপরি উচ্চমূল্যের কারণে বিলও আসে বেশি। অন্য দিকে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের দাবি যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা সে পরিমাণ বিদ্যুৎ তারা উৎপাদন করতে পারছে না। তবে অনেকেই একমত যে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি বন্ধ হলে কিছুটা হলেও লোডশেডিং লাঘব হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদারতা ও সুমতি প্রত্যাশা করছি।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির