post

সম্পাদকীয়

২৮ অক্টোবর ২০১৫
মালেক মালেক শহীদ মালেক আমাদের সেনাপতি ঘন দুর্যোগে শত দুর্ভোগে নির্ভীক এক চির অবিকল ভাস্বর সভাপতি। - কবি মতিউর রহমান মল্লিক বাংলাদেশের ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের কিংবদন্তি মহাপুরুষ, আমাদের কাফেলার সেনাপতি শহীদ আবদুল মালেক। নৈতিকতাহীন শিক্ষাব্যবস্থার কারিকুলামের আয়োজনে যখন আমাদের সন্তানেরা দিকভ্রান্ত হয়ে আমাদের প্রিয় লাল-সবুজের পতাকায় কালিমা লেপন করে দিচ্ছে ঠিক তখনই শহীদ আবদুল মালেকের ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের দাবি দিন দিন তীব্র আবেদনে রূপ নিচ্ছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে যখন আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় অশ্লীলতা ও নোংরামি উসকে দেয়া হচ্ছে তারই বিপরীতে আজ চারিদিকে ইসলামী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তায় শ্লোগান উঠছে। গ্রাম থেকে নগরীর বিভিন্ন দেয়ালে, বাসে, ভ্যান, রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনেও আজ শোভা পাচ্ছে ইসলামী শিক্ষার বিকল্প নেই, ইসলামী শিক্ষা চাই, আপনার সন্তানকে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করুনÑ এমন ভারী শ্লোগানের পোস্টার, স্টিকার। তাই আজ সময় এসেছে শহীদ আবদুল মালেককে আরো বেশি অধ্যয়ন করা। শহীদ মালেকের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা। শহীদ মালেকের শূন্যতা কখনো পূরণ হবার নয়। আমরা প্রতিটি দিবসে ও রজনীতে তাকে খুুঁজে ফিরি। শিল্পী মিরাদুল মুনিমের কণ্ঠের সাথে আমরাও কণ্ঠ মিলাতে চাইÑ আজ বড় প্রয়োজন মালেকের দ্বিধাহীন নির্ভীক পথ চলতে গিয়ে মালেক অনুপ্রেরণা আমাদের। দ্বীনের মুসাফির ছুটে চলে আনমনে স্বপ্ন বুনে যায় জেহাদের ময়দানে ক্ষুধায় কাতর তবু হাসিমুখে সবটুকু বেদনা লুকিয়ে রাখে সে নিজের। ২. লক্ষ মানুষের মুখে পবিত্র উচ্চারণ লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক হে প্রভু, এই দেখ তোমার দিদারে সদা প্রস্তুত আমি তাই সাদা কাফনে আবৃত করেছি মাটির দেহ তোমার কাবাকে সাক্ষী রেখে রাসূলের রাওজা মুবারক, হেরা গুহা আর ঐতিহাসিক আরাফাকে সামনে রেখে শপথ নিলাম তোমাকে ছাড়া আর কারো গোলামি করব না। -কবি হেলাল আনওয়ার হজ বিশ^ মুসলিম ভ্রাতৃত্বের এক মহামিলন, জাতীয় সমাবেশ। ভিন্ন দেহ হলেও একই মননে মেলবন্ধনের বিশাল আয়োজন। নিঃসন্দেহে এই সমাবেশ আত্মশুদ্ধির পাশাপাশি মুসলিম ঐক্যের ভিত্তি নির্মাণ করে। হজের মাধ্যমে বিশ^ মুসলিম তাওহিদী চেতনায় নতুন করে নিজেকে শাণিত করে আর তাগুতের বিরুদ্ধে শিরদাঁড়া উদ্বেলিত করে। পবিত্র এই বিধানটিকে আরো সমৃদ্ধ করার ব্যাপারে বিশ^ মুসলিম নেতৃত্ব আরো বেশি উদারতার পরিচয় দেবে এবং সংগঠিত ও আন্দোলিত হবেÑ সেটাই প্রত্যাশা। ৩. একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলতে জলাবদ্ধতা প্রতিরোধের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কেন এবং কী কারণে রাজধানীজুড়ে জলাবদ্ধতার সাগরে নগরবাসীকে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। ঢাকার দুই নগরপিতাকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় উন্নয়ন কতটুকু হয়েছে! তারা নিশ্চয়ই নানারকম উদ্যোগের কথা বলবেন। কিন্তু নাগরিকদের যদি এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হয়, তারা এক বাক্যে বলবেন জলাবদ্ধতা আগে যেমন ছিল, এখনো তেমনই আছে। শুধু ব্যবধান এতটুকু হয়েছে অতীতে হাঁটু পানি জমতো আর এখন কোমর পানি জমে। একটু বৃষ্টির পানিতে-ই রাজধানীর অধিকাংশ সড়ক বুড়িঙ্গার দূষিত পানিকেও হার মানায়। দিনের পর দিন যে হারে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে, সে তুলনায় তা প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে রাষ্ট্র। কবে এই ভোগান্তি থেকে নগরবাসী রেহাই পাবেন সেটা আল্লাহতায়ালাই ভালো জানেন। রাজধানীবাসীকে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে হলে সরকারকে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির