post

কেন্দ্রীয় সভাপতি বরাবর প্রশ্ন

ছাত্রসংবাদ ডেস্ক

২৬ অক্টোবর ২০২৪

১. বর্তমানে খিলাফাহ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। আমরা যদি ইতিহাসের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখি যে, আমাদের পূর্বপুরুষগণ খিলাফাহর জন্য পরাশক্তির সাথে যুদ্ধ করেছেন। তন্মধ্যে তিতুমীর, শরিয়তুল্লাহ, সদিপুরের লোকজন মূলত খিলাফাহর জন্য সংগ্রাম করেছেন। পরবর্তীতে বিট্রিশরা সেক্যুলারদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে যায়। আমার প্রশ্ন হলো ছাত্রশিবির খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে? অথবা ছাত্রশিবির কি আদৌ খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা করতে চায়? 

জাহেদ হাসান মুন্নাকমলনগর, লক্ষ্ষী পুর

উত্তর: ছাত্রশিবিরের ৫ দফার ভিতরে অন্যতম হলো ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ। ছাত্রশিবির প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই বাংলার জমিনে অর্থনৈতিক শোষণ, রাজনৈতিক নিপীড়ন ও সাংষ্কৃতিক গোলামী থেকে মানবতার মুক্তির জন্য সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছে। ছাত্রশিবির প্রথমত একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল স্তম্ভ- খোদাভীরু, সৎ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরীর কাজকে ফোকাস করছে। কারণ খিলাফাহ প্রতিষ্ঠার আগে খিলাফাহর আকাক্সক্ষা সম্পন্ন জনগোষ্ঠী তৈরি করতে হবে। ছাত্রশিবির মনে করে, এই আদর্শ নাগরিক তৈরির মাধ্যমে একটা ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। আর সেই সমাজ পরিচালিত হবে মহান আল্লাহ তায়ালার বিধান অনুযায়ী।  

২. ছাত্রশিবির কি রাজনৈতিক দল? উইকিপিডার তথ্যমতে এটি রাজনৈতিক দল। কিন্তু আমি জানি এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। আসলে কোনটা সঠিক? 

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন
মধ্যম সরাইপাড়,পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম

উত্তর: সাংবিধানিক কাঠামো ও কর্মসূচি কোনো দিক থেকেই ইসলামী ছাত্রশিবির কোনো রাজনৈতিক দল নয়, বরং রাজনীতি সচেতন একটি ছাত্রসংগঠন। এমনকি ছাত্রশিবির কোনো লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতিও লালন করে না, সমর্থনও করে না। ছাত্রশিবির একটি স্বাধীন আদর্শিক ছাত্রসংগঠন এবং সাধারণ ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কাজ করে থাকে। সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে সৎ, দক্ষ ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরির কাজ করে যাচ্ছে। উইকিপিডিয়া কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র নয়। ইসলাম বিদ্বেষী অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইসলামী ছাত্রশিবির সম্পর্কে অনেক মিথ্যা অপপ্রচারের চেষ্টা করে থাকে। উইকিপিডিয়ার তথ্যটিও তেমনই একটি।

৩. বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ইসলামী ছাত্রশিবির কতটুকু সহযোগিতা করবে? এটি আমাদের আন্দোলনের ক্ষেত্রে কেমন ভূমিকা রাখতে পারে?  

ইয়াছিন আরাফাত
শ্যামনগর, সাতক্ষীরা

উত্তর: ইসলামী ছাত্রশিবির বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকে। ছাত্রশিবির তার জনশক্তিদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম ও সেমিনারের আয়োজন থেকে শুরু করে আগ্রহী জনশক্তিদেরকে প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করে থাকে। বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী দেশের জন্য সম্পদ, যারা দেশের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাছাড়া বিদেশে উচ্চশিক্ষায় থাকা ভাইয়েরা বহিঃর্বিশ্বে বাংলাদেশের ইসলামী আন্দোলনের পক্ষে জনমত গঠন ও পজিটিভ প্রচারণার জন্য কাজ করে থাকেন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির