তোমরা রাজপথে মিছিল করো,
তোমরা শ্লোগানে আকাশ-বাতাস
মুখরিত করো, রক্তের দাগ টেনে
শহীদী মিছিল করো দীর্ঘায়িত!
গ্রেনেড বুলেটকে তোমাদের ইমানের
ঢাল দিয়ে প্রতিহত করছো প্রতিনিয়ত।
তোমাদের ‘নারায়ে তাকবীর,আল্লাহু
আকবার’ ধ্বনিতে শত্রুর বুক হয় ঝাঁজরা।
তোমাদের নেতাদের ফাঁসি হয়
মাত্র দু-তিনটি কলমের মিছিলে;
কিন্তু তোমাদের লাখো জনতা
একসাথে মিছিলে-স্লোগানে
গগনবিদারী আওয়াজ তুলেও
থামাতে পারেনি মাত্র দু-তিনটি
কলমের নিঃশব্দ মিছিল!
আমি বলছি না তোমাদের মিছিল
থেমে যাক কোনো এক কাব্যের
অকেজো টিয়ারশেলের আঘাতে;
বরং আমি বলছি- মানব মিছিলের চেয়ে
কম নয় কলমের নিঃশব্দ মিছিলের শক্তি।
এখন সময় এসেছে- রাজ মিছিলের
পাশাপাশি কলমের এক নৈঃশব্দিক
মিছিলের নেতৃত্ব দেওয়ার, আর এই
মিছিলের জন্য প্রয়োজন আরো
একবার, না, বারবার নিজের
জীবনকে আল্লাহর রাহে সঁপে
দিয়ে সাইয়্যেদ কুতুব আর বান্নার সাথে
শহীদি মিছিলে শামিল হওয়ার।
তোমাদের উচিত কলমের মিছিল
নিয়ে নিঃশব্দে শত্রুর ঢেরা পার হয়ে
নতুন এক দিগন্ত উন্মোচন করে
জাতির মুক্তি নিশ্চিত করা।
কে আছো আজ এই মিছিলের নেতা
হবে, যেই মিছিলের নেতা ছিলেন-
হাসসান বিন সাবিত, আলী ইবনে আবু তালিব,
সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদীর মতো সাহসী যোদ্ধা।
তাদেরই পথে আমৃত্যু মিছিল করে
জীবনকে আল্লাহর রঙে রাঙিয়েছেন
কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা।
কে আছো? চলো-
সবাই এক-একটি মিছিল হব!
এই মিছিল শুরু হোক!
আর অমূল্য জীবনের শেষ পরিণতি হোক
মহান রবের পথে অকাতরে প্রাণ বিলিয়ে।
আপনার মন্তব্য লিখুন