post

নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বনবী সা.

মাসুদা সুলতানা রুমী

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২

রাসূলুল্লাহ সা. নারীকে মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা হিসাবে সম্মানিত করেছেন এবং বিশেষ মর্যাদা ও ভালো ব্যবহার পাওয়ার অধিকারী করেছেন। পুরুষ ও নারীদের অধিকার পরস্পর সামঞ্জস্যপূর্ণ, বরং পুরুষের তুলনায় নারীদের দুর্বলতার কারণে তাদের অধিকার আদায়ের ব্যাপারে তুলনামূলকভাবে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ নারীরা বল প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নিতে পারে না। তথাপি এই সমতার অর্থ এই নয় যে, পুরুষ ও নারীর মধ্যে মর্যাদার কোনো পার্থক্য থাকবে না; বরং দুটি ন্যায়সঙ্গত ও তাৎপর্যের প্রেক্ষিতেই পুরুষদেরকে নারীদের পরিচালক নিযুক্ত করা হয়েছে। মানবিক অধিকারের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষ সমান, কারণ নারী ও পুরুষ একই উৎস থেকে উৎসারিত। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেছেন, “হে মানবজাতি তোমাদের রবকে ভয় করো। তিনি তোমাদের সৃষ্টি করেছেন একটি প্রাণ থেকে। আর সেই প্রাণ থেকে সৃষ্টি করেছেন তার জোড়া। তারপর তাদের দু’জনার থেকে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছেন বহু পুরুষ ও নারী। সেই আল্লাহকে ভয় করো যার দোহাই দিয়ে তোমরা পরস্পরের নিকট থেকে নিজেদের হক আদায় করো। আত্মীয়তা ও নিকট সম্পর্ক নষ্ট করা থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর কড়া নজর রাখছেন। (সূরা নিসা : ১) এখানে বুঝানো হয়েছে নারী ও পুরুষের মধ্যে মানসিক এবং দৈহিক পার্থক্য সত্ত্বেও তাদের কেউই একে অপরের চেয়ে বড়ো নয়। কারণ সমস্ত নারী ও পুরুষ একজন পুরুষ এবং নারী থেকে অস্তিত্ব লাভ করেছে। রাসূলুল্লাহ সা. নারীর অধিকার রক্ষার জন্য অনেক কঠোরভাবে দাঁড়িয়েছেন; তিনিই নারীকে জাহিলিয়াতের অজ্ঞতা, নির্যাতন থেকে মুক্তি দেন। রাসূলুল্লাহ সা. বলতেন, “নারীদের জন্য কল্যাণের অসিয়ত গ্রহণ করো।” (বুখারি-৩৩৩১, মুসলিম-১৪৬৮)


বিদায় হজ্জের ভাষণের সময় রাসূলুল্লাহ সা. লক্ষাধিক সাহাবির সামনে এই নসিহতগুলো বারবার উল্লেখ করেন। রাসূলুল্লাহ সা.-এর বিভিন্ন হাদিস থেকে নারীর অধিকার সম্পর্কে আমরা যা জানতে পারি তা মোটামুটি নিম্নরূপ-

১. মুসলিম মেয়েরা মসজিদে নববীতে ইশা ও ফজরের নামাজে উপস্থিত হতেন। 

২. জুমার সালাতে উপস্থিত হতেন।

৩. রাসূলুল্লাহ সা. মসজিদে সাধারণ সভার আহবান করলে মেয়েরাও সে আহবানে সাড়া দিতেন। 

৪. মুসলিম মেয়েরা রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষালাভের দাবি জানান।

৫. জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন। 

৬. উম্মে আতীয়া রা. স্বামীর সাথে ছয়টি জিহাদে অংশগ্রহণ করেছেন। উম্মে হারাম রা. সমুদ্রপথে জিহাদে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শাহাদত লাভের জন্য নবীজি সা.-এর কাছে দোয়া চেয়েছেন এবং তিনি দোয়া করেছেন। 

৭. নিজ-হাতে উপার্জন করেছেন এবং নিজেই তা দান করেছেন এবং খরচও করেছেন। 

৮. মুসলিম নারীগণ শিক্ষা লাভের ব্যাপারে কোনো রূপ সংকোচ বোধ করতেন না। 

৯. শিক্ষকতা করেছেন এবং পুরুষদেরকে সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করেছেন। 

১০. জনৈক মহিলা সাহাবি তাঁর স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ব্যাপারে তার অধিকার প্রয়োগে অবিচল থাকেন। 

১১. এক যুবতী মেয়ে তার বাবার পক্ষ থেকে বদলি হজ্জ আদায় করেন।

এমনি আরো অনেক কাজই মেয়েরা তখন রাসূলুল্লাহ সা.-এর অনুমোদন এবং উৎসাহে করেছেন। এভাবে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ^নবী সা. দুনিয়ায় অনন্য নজির স্থাপন করেছেন। স্বামী এবং বাবা-মায়ের সম্পত্তিতেও নারীকে অধিকার দিয়েছে ইসলাম। যা ১৫০০ বছর পরেও অযোগ্য জাতির মেয়েরা বুঝতে পারে না। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, নিশ্চয়ই নারীরা পুরুষদের সহোদর।” (আবু দাউদ)

রাসূলুল্লাহ সা.-এর আগমনের পূর্বে নারীদের কোনো মূল্যায়নই করা হতো না। কাউকে তো শিশুকালেই নির্দয়ভাবে হত্যা কার হতো আর যারা বেঁচে থাকতো তারাও মানবেতর জীবন যাপন করত। মা- বোন স্ত্রী-কন্যা হিসাবে তারা কোনো মর্যাদাই পেত না। সব পুরুষ প্রায় একই রকম ছিল। সে যখন পিতা তখন নবজাতক কন্যাসন্তান হত্যা করা তার নৈতিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করা কিংবা বেশি সমস্যা হলে বিক্রি করে দেওয়া ইচ্ছার ব্যাপার ছিল। যখন সে স্বামী তখন তো স্ত্রীর উপর তার পূর্ণ মালিকানা! ইচ্ছে করলে রাখতে পারে তালাক দিতে পারে বিক্রি করতে পারে, কিছুদিন অন্য পুরুষের কাছে বন্ধক রাখতে পারে। জুয়ার বাজি ধরতে পারে অন্য কিছুর বিনিময়ে বদলও করতে পারে কিংবা মেরেও ফেলতে পারে। প্রেম ভালোবাসা তাদের অন্তর থেকে নির্বাসনে গিয়েছিল। হযরত ওমর রা. বলেন, “আল্লাহর শপথ! জাহেলি যুগে আমরা নারীদের কোনো মর্যাদাই দিতাম না। অবশেষে আল্লাহ কুরআনুল করিমে তাদের জন্য আয়াত নাজিল করলেন এবং তাদের প্রাপ্য বণ্টন করে দিলেন।” (বুখারি ও মুসলিম) আর এক বর্ণনায় তিনি বলেন, “জাহেলি যুগে আমরা নারীদের কিছুই মনে করতাম না। এরপর ইসলামের আবির্ভাব হলো এবং আল্লাহ স্বীয় বাণীতে তাদের উল্লেখ করলেন। তার পরই আমরা জানলাম যে আমাদের প্রতি নারীর অধিকার আছে।” (বুখারি)। এর পরই পুরুষ সঠিক কথাটি জানতে পারলো। রাসূলুল্লাহ সা. তাকে শেখালো, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের জান্নাত। জানালো নারী ও পুরুষ পরস্পরের ভূষণ। সন্তানের উপর মাতার হক পিতার হকের চেয়ে তিন গুণ অধিক। নারীর ওপর পুরুষের যেমন অধিকার আছে পুরুষেরও নারীর ওপর তেমনি অধিকার আছে।” পিতা যদি তিন, অথবা দুই অথবা একটি সন্তানও স্নেহে বড়ো করে তোলেন আখেরাতে সেই পিতা নবীজি সা.-এর অতি নিকটবর্তী হবেন। 


শিক্ষা ক্ষেত্রে নারীর অধিকার

হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কোনো ব্যক্তি কন্যাসন্তানের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে তাকে উত্তমভাবে লালন পালন করলে ঐ কন্যা সে ব্যক্তির জাহান্নামের পথে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াবে। (বুখারি ও মুসলিম) পিতা, ভ্রাতা, সাথী ও সন্তান- ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়ে রাসূলুল্লাহ সা. এর প্রশিক্ষণ ও শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পুরুষ নারীকে পূর্ণ মর্যাদা দিতে শিখল। পুরুষ হলো স্নেহশীল, পিতা, দায়িত্ববান ভাই। হলো হৃদয়বান সাথী আদর্শ সন্তান। পিতা, পুত্রসন্তানের চেয়ে অধিক যত্নে লালন পালন করতে লাগলো কন্যাসন্তানটিকে। শিক্ষা দীক্ষায় উপযুক্ত করে তাকে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির অংশীদার করে বিয়ে দিলো উত্তম মানুষের সাথে। আর ভাইয়ের দায়িত্বের নমুনা দেখে তো পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সা. নব বিবাহিত জাবির ইবনে আবদুল্লাহকে জিজ্ঞেস করলেন। জাবির কুমারী বিয়ে করেছ না বিধবা বিয়ে করেছ? জাবির উত্তর দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল, বিধবা বিয়ে করেছি। রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, বিধবা বিয়ে করলে কেন? কুমারী মেয়ে বিয়ে করলেই পারতে। জাবির রা. বললেন, “আমার মা ছোট ছোট কয়েকটি কন্যাসন্তান রেখে মারা গেছেন। আমি ওদের বয়সী একটা মেয়েকে বিয়ে করে আনা পছন্দ করলাম না। আমি এমন একজন মহিলাকে বিয়ে করেছি সে ওদের দেখাশুনা করতে পারবে, চুল বেঁধে দিতে পারবে এবং শিক্ষা দিতে পারবে। (বুখারি, মুসলিম, তিরমিজি) আর রাসূলুল্লাহ সা.-এর সাথীরা যে কী পরিমাণ হৃদয়বান হয়েছিলেন তা বোঝা যায় নিম্নোক্ত ঘটনায়- এক ব্যক্তি স্ত্রীর বকাঝকায় অতিষ্ঠ হয়ে খলিফা হযরত ওমর রা.-এর কাছে এসেছিলেন নালিশ করার জন্য। কিন্তু খলিফার বাড়ির দরজায় আসতেই তিনি শুনতে পেলেন খলিফার স্ত্রী রাগতস্বরে খলিফাকে বকাঝকা করছেন। শুনে ঐ ব্যক্তি যারপরনাই অবাক হলেন। খলিফাকে আর কিছু না বলে তিনি ফিরে চললেন। ইতোমধ্যে খলিফা বাইরে এলেন। দরজা থেকে ঐ ব্যক্তিকে চলে যেতে দেখে তিনি ডাকলেন, তারপর জানতে চাইলেন তিনি কেন এসেছিলেন? আর কেনই বা কিছু না বলে চলে যাচ্ছেন? সেই ব্যক্তি বললেন, “আমিরুল মুমিনীন আমি এসেছিলাম আমার স্ত্রীর রুঢ় ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে আপনার কাছে নালিশ করতে কিন্তু এখানে এসে শুনলাম আপনার স্ত্রী আপনাকে আরো বেশি কথা শোনাচ্ছে। তাই আমি নালিশ না করে ফিরে যাচ্ছিলাম। তা খলিফা, আমরা পুরুষেরা আপনাকে বাঘের মতো ভয় করি আর একজন মহিলা কী করে আপনাকে কথা শোনায়? হযরত ওমর রা. বললেন “ভাই এই মহিলার অনেক হক আছে যা আমি আদায় করতে পারিনি। তদুপরি এই ভদ্রমহিলা আমার রান্না করে, ঘরবাড়ি, কাপড় চোপড় পরিষ্কার করে। সন্তানদের লালন পালন করে। এমনি আরও অনেক কাজ করে যা করতে সে বাধ্য নয়। এসব কাজে সে আমাকে ইহসান করে। অতএব সে তো একজন পাওনাদার। আর পাওনাদারের দুই কথা বেশি বলার অধিকার আছে। ঐ ব্যক্তি বললেন, আমার স্ত্রীও তো এসব কাজ করে এবং আমিও তার অনেক হক আদায় করতে পারিনি। খলিফা হাসিমুখে বললেন, “তাহলে ভাই একটু সহ্য করো। হক আদায় করতে না পারলে কথা বলার অধিকার তো তাকে দিতেই হবে। আর সন্তান তো হলো এমন সন্তান যে কি না মায়ের মৃত্যুর পরও তার হক আদায়ের জন্য পেরেশান থাকে। 


পরিবারে নারীদের সম্মান

রাসূলুল্লাহ সা. মহিলাদের যে সম্মান দিয়েছেন সারা বিশ্বেও তার কোনো নমুনা খুঁজে পাওয়া যাবে না। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন পৃথিবী একটি সম্পদ আর তার মধ্যে উত্তম সম্পদ হচ্ছে নেককার মহিলা।” (বুখারি ও মুসলিম, বিবাহ অধ্যায়) আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, “পুরুষ তার পরিবার পরিজনের ওপর দায়িত্বশীল এবং তাকে সে ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।” আর নারী তার পরিবারে লোকজন ও সন্তান-সন্ততির ওপর দায়িত্বশীল এবং তাকে তাদের ব্যাপারে জবাবদিহি করতে হবে। (বুখারি ও মুসলিম) 


সম্পত্তিতে নারীর অধিকার

দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে হলে জায়গা, জমি, টাকা-পয়সা সহায় সম্পত্তি একান্তই প্রয়োজন। উল্লেখ্য, বদরী সাহাবি হযরত সা’দ ইবনে রবি ওহুদ যুদ্ধে শাহাদত বরণ করেন। তিনি দুই কন্যাসন্তান এবং এক স্ত্রী রেখে যান। জাহিলি প্রথা অনুযায়ী তার দুই কন্যা এবং স্ত্রীকে বঞ্চিত করে তাঁর ভাইয়েরা সমুদয় সম্পদ দখল করে নেয়। তখন তার স্ত্রী দুই কন্যার হাত ধরে রাসূলুল্লাহ সা.-এর কাছে আসেন এবং বলেন, “হে আল্লাহর রাসূল সা.-এরা সা’দের কন্যা। এদের বাপ ওহুদ যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। এদের চাচা সমুদয় সম্পত্তি নিজের আওতায় দখল করে নিয়েছে। এদের জন্য কিছুই রাখেনি। এখন বলুন, আমি কিভাবে এদের লালন পালন করত? এর পরই সূরা নিসার ওরারিশ সংক্রান্ত আয়াতগুলো নাজিল হয়। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা বলেন “তোমাদের স্ত্রীরা পাবে তোমাদের ত্যাজ্য সম্পত্তির এক অষ্টমাংশ যদি তোমাদের সন্তান থাকে। আর যদি সন্তান না থাকে তবে তারা তোমাদের ত্যাজ্য সম্পত্তির এক- চতুর্থাংশ পাবে।” (সূরা নিসা : ১২) এইভাবে মেয়েদের তাদের যাপিত জীবনে যেন কারো গলগ্রহ হয়ে না থাকতে হয় তারই ব্যবস্থা করেছে ইসলাম। আর ইসলামের এই বিধানগুলো একটা একটা করে বাস্তবায়িত করেছেন রাসূলুল্লাহ সা.। আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা বলেছেন, “এবং তোমরা স্ত্রীদের মোহরানা মনের সন্তোষ সহকারে আদায় করো।” (সূরা নিসা : ৪)। একজন পুরুষ যেমন স্বাধীনভাবে সৎপথে থেকে আয় করতে পারে, ব্যয় করতে পারে একজন নারীও সৎপথে থেকে আয় করতে পারে, ব্যয় করতে পারে। দান করতে পারে, উপহার দিতে পারে। নারীকে এই স্বাধীনতা দিয়েছে ইসলাম তথা রাসূলুল্লাহ সা.। আজও এই ১৫ শ’ বছর পরও যেখানেই ইসলাম অনুপস্থিত, রাসূলুল্লাহ সা.-এর শিক্ষা অনুপস্থিত সেখানেই নারী স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত। রাসূলুল্লাহ সা.-ই নারীকে দিয়েছেন শিক্ষার স্বাধীনতা, কর্মের স্বাধীনতা সর্ব প্রকারের স্বাধীনতা এবং মানসম্মানে যিনি ভূষিত করেছেন নারীকে। এই স্বাধীনতা ও মানসম্মানকে টিকিয়ে রাখতে হলে আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ সা.- এর উম্মত হওয়ার হক সঠিকভাবে আদায় করতে হবে। 

আল্লাহ সুবহানাল্লাহু তায়ালা যেন আমাদের সেই তৌফিক দান করেন। আমরা যেন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সচ্ছলতায়, অভাবে, বিপদে-নিরাপদে, হাসি-কান্নায়, সংঘাতে-সন্ধিতে, ঝগড়া ও আপসে জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে শুধু তারই অনুগত থাকি। তাহলেই পাওয়া যাবে দুনিয়া ও আখেরাতে সঠিক মানের স্বাধীনতা, সম্মান ও অধিকার। দুনিয়ার সকল প্রকার জিল্লত ও অপমান থেকে মুক্তি এবং জাহান্নামের আগুন থেকে নাজাত। আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমিন।

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির