post

বিপ্লব

ইমাম হাসান আল বান্না রহ. ॥ অনুবাদ : সালমান খাঁ

২৯ জুন ২০২৩

আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-

وَ قُلِ اعۡمَلُوۡا فَسَیَرَی اللّٰهُ عَمَلَکُمۡ وَ رَسُوۡلُهٗ وَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ ؕ وَ سَتُرَدُّوۡنَ اِلٰی عٰلِمِ الۡغَیۡبِ وَ الشَّهَادَۃِ فَیُنَبِّئُکُمۡ بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ  “আর বলুন, তোমরা কাজ করতে থাকো, আল্লাহ তোমাদের কাজকর্ম দেখবেন এবং তার রাসূল ও মুমিনগণও। আর অচিরেই তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে গায়িব ও প্রকাশ্যের জ্ঞানীর (আল্লাহর) কাছে। তারপর তোমরা যা যা করতে তা তিনি তোমাদের জানিয়ে দিবেন।” (সূরা তাওবা : ১০৫)

নবী করিম সা. আমাদের দুআ শিখিয়েছেন-

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ. “ও আল্লাহ, আমি আপনার কাছে দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতা থেকে আশ্রয় চাই। আমি আশ্রয় চাই অক্ষমতা ও অলসতা থেকে, আপনার কাছে আশ্রয় চাই ভীরুতা ও কার্পণ্যতা থেকে। আমি আপনার কাছে আরও আশ্রয় চাই ঋণের বোঝা ও মানুষের রোষানল থেকে।” (আবু দাউদ : ১৫৫৫)

নবী করিম সা. শেখানো এই দুআকে কি আপনার কাছে বিপ্লব মনে হয় না? এই দুআটি বিপ্লব ঘোষণা করছে মানুষের সকল প্রকার দুর্বলতার বিরুদ্ধে। বিপ্লব ঘোষণা করছে- দুশ্চিন্তা ও অস্থিরতার বিরুদ্ধে, অক্ষমতা ও অলসতার বিরুদ্ধে,  ভীরুতা ও কৃপণতার বিরুদ্ধে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের জুলুমের বিরুদ্ধে। 

মানুষজন গতকাল কথা বলেছে ফরাসি বিপ্লব নিয়ে। ফরাসি বিপ্লব নিয়ে কথা বলতে বলতে তারা একটু বেশিই বলে ফেলেছে। তারা বলছে- ফরাসি বিপ্লব মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করেছে; স্বাধীনতা, সাম্য ও মৈত্রীর (Liberté, égalité, fraternité, ou la mort) ঘোষণা করেছে। তারা বলছে, এই ফরাসি বিপ্লবই হচ্ছে পাশ্চাত্যের নয়া রেনেসাঁর প্রভাতসূর্য ও ইতিহাস-চাবি। আজ আবার তারা কথা বলছে রুশ বিপ্লব নিয়ে। রুশ বিপ্লব নিয়েও তারা কম কথা বলছে না। জানুক বা না জানুক, তারা বলে চলেছে— এই বিপ্লব ধনী আর গরিবের মাঝে ইনসাফ কায়িম করেছে, সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির (Classes) মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছে সাম্যের বার্তা এবং সকল মানুষের মাঝে ঘোষণা করেছে সামাজিক ন্যায়বিচার (Social Justice)। কিন্তু এই তারাই যখন আবার ‘দ্বীন-ই হানিফ’ ইসলাম নিয়ে কথা বলে, তখন তাদের অধিকাংশ লোকই এটাকে নিছক ধর্মের বাইরে আর কিছু মনে করে না, করতে পারে না। ইসলাম শব্দটি বললেই তারা বুঝে বা বোঝাতে চায় নিছকই কিছু বাহ্যিক ব্যাপার-স্যাপার, রসম-রেওয়াজ ও কল্পনা-বিলাস। ইসলাম সম্পর্কে এই ত্রুটিপূর্ণ বুঝ ও অপূর্ণাঙ্গ বোধের সৃষ্টি হয়েছে মূলত তাদেরই পারস্পরিক বিপরীতধর্মী চিন্তা-ভাবনা ও কৃষ্টি-কালচার থেকে। তাদের কেউ কেউ মনে করে, ইসলাম মানেই দুর্বলতা ও লাঞ্ছনা; আবার কেউ কেউ মনে করে, ইসলাম মানেই অলসতা ও পরনির্ভরশীলতা।

কেউ কেউ তো এমনও আছে, যারা ইসলাম বলতে বুঝে তাবিজ-কবচ ও কিছু অলৌকিক ভোজবাজি। ইসলাম সম্পর্কে কারও কারও বোঝাপড়া আধ্যাত্মিক কিছু ইবাদতকর্ম ও বাহ্যিক কিছু আচার-অনুষ্ঠানের বাইরে যেতে চায় না। তাদের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে যাদের বোঝাপড়া সবচেয়ে ভালো, তাদের নমনুাও খুব একটা ভালো না। তারা ইসলাম বলতে সর্বোচ্চ যা বুঝে, তা হচ্ছে এই— ইসলাম মানে হচ্ছে আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক এবং রূহ ও নফস পবিত্র করার তরিকা।

খুব কম সংখ্যক মানুষই ইসলাম ও ইসলামী জীবনব্যবস্থার হাকিকত বুঝতে পেরেছে; এর লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মপন্থা ধরতে পেরেছে। যারা এর হাকিকত উপলব্ধি করেছে, তারা বুঝতে পেরেছে, ইসলাম সমাজ সংস্কারের এক পূর্ণাঙ্গ নির্দেশনা। তারা বুঝতে পেরেছে, ইসলাম এমন এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যাতে ছোটো-বড়ো কোনো কিছুই বাদ যায়নি; বরং প্রতিটি বিষয়েরই নির্দেশনা মওজুদ রয়েছে এতে। আল্লাহ তায়ালা বলছেন-

وَ نَزَّلۡنَا عَلَیۡك الۡكِتٰبَ تِبۡیَانًا لِّكُلِّ شَیۡءٍ وَّ هُدًی وَّ رَحۡمَةً وَّ بُشۡرٰی لِلۡمُسۡلِمِیۡنَ “আর আমরা আপনার ওপর কিতাব নাজিল করেছি প্রত্যেক বিষয়ের সুস্পষ্ট ব্যাখ্যাস্বরূপ এবং পথনির্দেশ, রহমত ও মুসলমানদের জন্য সুসংবাদস্বরূপ।” (সূরা নাহল : ৮৯)

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ইসলাম সম্পর্কে কারো কারো অজ্ঞতা ও ভ্রষ্টতা এই পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে যে, তারা মনে করে— ইসলাম সংস্কার আন্দোলন, লড়াই, প্রতিরোধ ও মুক্তিসংগ্রামের পথে কেবল বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতাই সৃষ্টি করে। ইসলাম জনগণকে তার অধিকার থেকে গাফিল রাখে, অধিকার আদায়ের লড়াই ও জিহাদ থেকে অবচেতন করে রাখে। তাই এই সকল অজ্ঞ ও ভ্রান্ত লোকেরা নিজেদের অজ্ঞতা ও ভ্রান্তির কারণে ইসলাম ও ইসলামী জীবনব্যবস্থার বিরোধিতা করে, ইসলাম ও মুসলমানদের ওপর মিথ্যা অপবাদ দেয়। যারা ইসলাম মেনে চলে কিংবা ইসলামী জীবনব্যবস্থার দিকে মানুষকে আহ্বান জানায়, তাদেরকে তারা অভিহিত করে পশ্চাৎপদ ও প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে, উন্নতি ও অগ্রগতির বিরোধী হিসেবে। এছাড়াও, ইসলাম ও মুসলমানদেরকে তারা আরও নানাবিধ অপনাম ও অপবাদে অভিষিক্ত করে থাকে। এ সকল অপনাম ও অপবাদ সবই তাদের নিজেদের বানানো, মনগড়া; এগুলোর পক্ষে আল্লাহ তায়ালা কোনো প্রমাণ (সুলতান) নাজিল করেননি। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন- 

اِنۡ هِیَ اِلَّاۤ اَسۡمَآءٌ سَمَّیۡتُمُوۡهَاۤ اَنۡتُمۡ وَ اٰبَآؤُکُمۡ مَّاۤ اَنۡزَلَ اللّٰهُ بِهَا مِنۡ سُلۡطٰنٍ ؕ اِنۡ یَّتَّبِعُوۡنَ اِلَّا الظَّنَّ وَ مَا تَهۡوَی الۡاَنۡفُسُ ۚ وَ لَقَدۡ جَآءَهُمۡ مِّنۡ رَّبِّهِمُ الۡهُدٰی   “এগুলো কিছু নামমাত্র যা তোমরা ও তোমাদের পূর্বপুরুষরা রেখেছ, যার সমর্থনে আল্লাহ কোনো দলিল-প্রমাণ নাজিল করেননি। তারা তো অনুমান এবং নিজেদের প্রবৃত্তিরই অনুসরণ করে, অথচ তাদের কাছে তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়াত এসেছে।” (সূরা নাজম : ২৩)

অথচ এ সকল জাহিলরা ভুলে গেছে, ইসলাম তার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কর্মপন্থায় এমন মহাবিপ্লবী দাওয়াত; যার তাত্ত্বিক, কর্মগত ও ঐতিহাসিক ভূমিকার সামনে দাঁড়ানোরও ক্ষমতা নেই ফরাসি বিপ্লব আর রুশ বিপ্লবের। ‘ইসলাম’ এই ছোট্ট শব্দটি যা কিছু ভাব ও মর্ম লালন করে, তার সবকিছুর মাঝেই ছড়িয়ে আছে বিপ্লবের লাভা। এই বিপ্লবী দাওয়াত ইসলাম কাঁপিয়ে দেয় ফাসাদ সৃষ্টিকারী সকল ব্যবস্থা, ভেঙ্গেচুরে চুরমার করে দেয় অবাধ্যতা, সীমালঙ্ঘন ও জুলুমবাজির সুউচ্চ প্রাসাদ। এই বিপ্লবী দাওয়াত ইসলামই মানুষের জীবনকাঠামোকে গড়ে তুলে নতুন করে এবং তাকে স্থাপন করে শক্তিশালী, সুদৃঢ় ও মজবুত পাটাতনের ওপর।

ইসলাম বিপ্লব ঘোষণা করেছে—অজ্ঞতার বিরুদ্ধে, জাহালতের বিপক্ষে। মানুষ তার নিজের ব্যাপারেই অজ্ঞ; ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে তার প্রকৃত পরিচয়। মানুষ তার জগত, যেই জগতে সে বসবাস করছে, তার ব্যাপারেও অজ্ঞ। ইসলাম মানুষ ও এই বিস্ময়কর জগতকে জুড়ে দিয়েছে এক সুদৃঢ় বন্ধনে, তাদের মাঝে সৃষ্টি করেছে সম্প্রীতি। ইসলাম বলছে, এই বিশাল বিশ্বজগত নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও তাফাক্কুর করাই জ্ঞান হাসিল ও মারিফত লাভের উপায়। মানুষ তার মালিক, তার রবের ব্যাপারেও অজ্ঞ। ইসলামই মানুষকে শিখিয়েছে— সর্বজ্ঞ মালিক, এক ও একক ইলাহী সত্তা আল্লাহ তায়ালার সাথে মুআমালাতের তরিকা।

ইসলাম বিপ্লব ঘোষণা করেছে সকল প্রকার জুলুমবাজির বিরুদ্ধে। ইসলাম নিষিদ্ধ করেছে শাসিতের ওপর শাসকের জুলুম, নির্যাতন। ইসলাম বলছে, শাসক ও জনগণের সম্পর্কের ভিত্তি হবে—পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা, দায়িত্ববোধ ও কল্যাণকামিতা। শাসক ও জনগণ প্রত্যেককেই তাদের দায়িত্ব ও অধিকার সম্পর্কে অবগত করেছে ইসলাম। ইসলাম বলছে, শাসক হবে জনগণের রক্ষক ও হিফাজতাকারী। স্বেচ্ছাচার, স্বৈরাচার, জুলুম ও নির্যাতনের সকল উপাদানকে হারাম ঘোষণা করেছে ইসলাম। নিষিদ্ধ করেছে গরিবের ওপর ধনীর জুলুম। ইসলাম বলেছে, গরিব ধনীর ভাই। তাই, একজন ধনী অতি অবশ্যই জিজ্ঞাসিত হবে তার গরিব ভাইয়ের ব্যাপারে। ধনীর সম্পদে রয়েছে গরিবের সুনির্দিষ্ট হক (যাকাত)। এই হক অস্বীকার করা কিংবা আদায় না করার কোনোই অবকাশ নেই একজন ধনীর। যদি সে এই হক আদায় না করে, তাহলে এর দায়িত্ব নেবে রাষ্ট্র, বিহিত করবে আইন। প্রথম খলিফা আবু বকর সিদ্দিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন-

 وَاللَّهِ لَوْ مَنَعُونِي عِقَالاً كَانُوا يُؤَدُّونَهُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَقَاتَلْتُهُمْ ما استمسك السيف بيدي. “আল্লাহর কসম, তারা যদি আমাকে একটি রশি দিতেও অস্বীকৃতি জানায়, যা তারা (যাকাত বাবদ) রাসূলুল্লাহ সা. কে প্রদান করতো, তবে আমি (এই অস্বীকৃতির কারণে) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে যাব, যতক্ষণ আমার হাতে তরবারি থাকে।”

ইসলাম আরও নিষিদ্ধ করেছে দুর্বলের ওপর শক্তির জুলুম। আদতে ইসলাম জীবনব্যবস্থায়, হকের মানদ- ছাড়া দুর্বল ও শক্তিমত্তার আর কোনো ভিত্তি নেই। ইসলাম বলছে, সে-ই সবচেয়ে শক্তিশালী যার পক্ষে হক, যতক্ষণ না ইনসাফি আদালতে তার হক আদায় করা হয়। সেই সবচেয়ে দুর্বল যে বাতিল, যার পক্ষে হক নেই; যতক্ষণ না তার থেকে পাওনা অন্যের সেই হক ইনসাফি আদালতে আদায় করা হয়। হক-বাতিলের এই মানদ-ের বাইরে ঈমানের আর কোনোই অবস্থান নেই। এই মানদণ্ডের বাইরে সরিষা পরিমাণ ঈমানও থাকতে পারে না। সে কারণেই আমরা বলতে চাচ্ছি, দুর্বলতার যত প্রকারভেদ আছে, যত রকম প্রকাশভঙ্গি আছে, তার সবগুলোর বিরুদ্ধেই ইসলাম বিপ্লব ঘোষণা করেছে। ইসলাম বিপ্লব ঘোষণা করেছে নফসের দুর্বলতা, পাপাচারিতা ও কৃপণতার বিরুদ্ধে। বিপ্লব ঘোষণা করেছে মস্তিষ্কের দুর্বলতা, নির্বুদ্ধিতা ও বোকামির বিরুদ্ধে, দেহের দুর্বলতা, শাহওয়াত (কামনা-বাসনা) ও রোগ-জরার বিরুদ্ধে।

অতএব ইনসাফ ও আদালতের ঝান্ডাধারী হে প্রিয় ভাইয়েরা, কখনোই না জেনে কিংবা জেনে না জানার ভান ধরে কারো অধিকারের ওপর জুলুম করবেন না। প্রিয় ভাইয়েরা মনে রাখবেন, ফরাসি বিপ্লব মানবাধিকার, স্বাধীনতা, সাম্য ও মৈত্রীর ঘোষণা করারও আগে; রুশ বিপ্লব শ্রেণি সংঘাত নিরসন ও সামাজিক ন্যায়বিচার ঘোষণা করারও চৌদ্দশত বছর আগে মহাবিপ্লবী ইসলাম এসব কিছুর ঘোষণা দিয়ে গেছে। ইসলাম এই বিপ্লবগুলোর ফলাফলকে এতটাই ছাড়িয়ে গেছে যে, নিজের নামের সাথে সে এগুলোকে জুড়তেও চায় নি। ইসলাম কেবল এই বিপ্লব নিশ্চিত করেই থেমে থাকেনি; বরং একে সত্য ও কর্মের রঙ দিয়েও সাজিয়েছে।

ইসলাম যেই বিপ্লব হাজির করেছে তা কেবল তত্ত্ব ও দর্শনের মাঝেই সীমাবদ্ধ রাখেনি; বরং সে তার এই বিপ্লবী মূল্যবোধকে ছড়িয়ে দিয়েছে মানুষের দৈনন্দিন জীবন ও কর্মব্যস্ততায়। পাশাপাশি, এই বিপ্লবী মূল্যবোধের সাথে ইসলাম আরও জুড়ে দিয়েছে— মানবমর্যাদা এবং সৎ গুণাবলি, উত্তম আচার-বৈশিষ্ট্য ও রুহানি চাওয়া-পাওয়ার পূর্ণতাকে; যাতে করে মানুষ সুখী হতে পারে দুনিয়া ও আখিরাতে, সৌভাগ্য হাসিল করতে পারে এই জগতে ও পরপারে। আর এসব কিছুর ওপর ভিত্তি গেঁড়েই দাঁড়িয়ে আছে—মানুষের অন্তরের সজীবতা, আল্লাহর মারিফত, বিচারের হাকিকত এবং আইনের আদালত। সর্বব্যাপী মহাবিপ্লবী ইসলাম বাস্তবায়িত হওয়া পর আর কোনো বিপ্লবের প্রয়োজন আছে কি? আল্লাহর কসম, না। ইসলাম বাস্তবায়িত হলে আর কোনো বিপ্লবের জরুরত নেই।  

লেখক : ইসলামী চিন্তাবিদ আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব
অনুবাদক : শিক্ষার্থী, ঢাবি

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির