আল্লাহ তায়ালা তাঁর সৃষ্টির প্রতি রহমশীল। তিনি মানুষকে সৃষ্টির সেরা হিসাবে সুন্দরতম করে সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীর প্রারম্ভ থেকে আখেরি নবী মুহাম্মদ সা. আগমনের পূর্ব পর্যন্ত মানুষ আল্লাহর নির্দেশ মাফিক দুনিয়ায় জীবন যাপনের নিমিত্তে বিভিন্ন সময়ে দিকভ্রান্ত মানুষকে হক পথের সন্ধান দিতে নবী ও রাসূল পাঠিয়েছেন। নবী-রাসূলগণ তাদের উম্মতদের নিকট সত্যের সাক্ষী হিসেবে এসেছেন। নবীগণ তাদের কওমের জনগণকে আল্লাহর বন্দেগিতে মহা-সাফল্যে ও নাফরমানিতে কঠিন শাস্তির সাইরেন বাজিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ সা.কে মিরাজ গমন করিয়ে সত্যপন্থীদের জন্য মহা সাফল্যের জান্নাত ও তিরস্কার প্রাপ্তদের কঠিন শাস্তির জাহান্নাম বাস্তবে প্রত্যক্ষ করিয়ে দেখিয়েছেন।
হযরত ঈসা (আ)-এর তিরোধানের পর এক কঠিন পরিস্থিতি দেখেছে দুনিয়া। মানুষের মান-মর্যাদা ধুলায় লুণ্ঠিত হয়েছিল। নারীদের পণ্য হিসাবে মূল্যায়িত হতো এবং দরিদ্রদের জীবন ছিল দুর্বিষহ। বিশেষ করে কৃতদাসদের প্রতিটি দিন ছিল যাতনার, যা বর্ণনার অতীত। যে সময়কালকে কোন কবির কবিতা বা কোন ভাষার শব্দ দিয়ে ব্যক্ত করা যাবে না। ইতিহাসে যা আইয়্যামে জাহেলিয়াত নামে পরিচিত। পাপ-পঙ্কিলতা ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছিল জীবনের অনুষঙ্গ। এহেন বিদঘুটে অমানিশার বুক চিরে একটি আলো ঝলমলে ভোরের প্রতীক্ষায় দুনিয়া প্রহর গুনছিল। অবশেষে ৫৭০ খ্রি: মা আমেনার কোলজুড়ে দুনিয়ায় আগমন করলেন শেষ নবী হয়রত মুহাম্মদ সা.। তাঁর আগমনে দুনিয়ার বুকে নতুন ফুল্গধারা বয়ে গেল। তিনি কুরাইশদের কাছে ‘আল আমিন’ ও ‘আস সাদিক’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন।
রাসূল সা.-কে আল্লাহ তায়ালা দুনিয়াবাসীর জন্য রহমত হিসাবে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ বলেন, ‘হে নবী আমি আপনাকে সারা বিশ্বের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আম্বিয়া : ১০৭) তিনি নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বে গোলযোগপূর্ণ মক্কাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করতে হিলফুল ফুজুল বা শান্তি সংঘ প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এই সংঘের মাধ্যমে নির্যাতিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্বলদের ওপর সবলদের প্রভুত্বের হ্রাস, কন্যাসন্তানদের জীবন্ত কবরস্থ করা থেকে কন্যাদের পিতাদের নিবৃত্ত করাসহ কাবা শরিফে অবস্থিত হাজারে আসওয়াদ নিয়ে চলমান দাঙ্গা থেকে মক্কাবাসীকে রক্ষা করলেন। তিনি নবুয়তপ্রাপ্তির পর মক্কার উপকণ্ঠে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিলেন, তাওহিদের কালিমা। তাঁর নতুন আদর্শ ও মতকে পৌত্তলিকরা সহ্য করতে পারলো না। প্রথম দিনেই সত্যের বাহক মুহাম্মদ সা. নির্যাতনের শিকার হলেন। এর পরেও সত্য ও সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার মিশন হতে মুহূর্তের জন্যও নিবৃত্ত হননি। রাসূল সা. সেই সোনালি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁর সহযাত্রীদেরও সেভাবে গড়ে তুলেছিলেন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিজে যা করতেন তাঁর সঙ্গী-সাথীদেরকেও তা করতে রাসূল সা. বলতেন। যেমন- অধীনস্থদের প্রতি সুন্দর আচরণ : হয়রত আনাস রা. মুহাম্মদ সা.-এর গৃহে প্রায় ১০ বছর খেদমতে ছিলেন। রাসূল সা. কখনো অধীনস্থদের প্রতি কঠোর ছিলেন না। তিনি রাসূল সা.-এর ব্যাপারে বলেন, “রাসূল সা. সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের মানুষ ছিলেন এবং সবার চেয়ে প্রশস্তচিত্তের মানুষ ছিলেন। তিনি আমাকে একদিন এক কাজে পাঠিয়েছিলেন, আমি বের হয়ে দেখি শিশুরা খেলছিল, আমিও তাদের সাথে খেলতে চলে গেলাম। এরপর আমি অনুভব করলাম, একজন আমার পেছনে দাঁড়িয়ে আছেন এবং আমার কাপড় স্পর্শ করছেন, আমি তাকালাম- তিনি মুচকি হাসলেন, বললেন ‘উনায়েস! তোমাকে যেখানে যেতে বলেছি সেখানে কি তুমি গিয়েছ? বললাম, জি আমি এখনই যাবো হে আল্লাহর রাসূল সা.। আল্লাহর কসম, আমি ১০ বছর তাঁর খেদমত করেছি এর মাঝে আমি কোনো কাজ করলে তিনি কখনো বলেননি, ‘কেন তা করেছ’ আর কোনো কাজ না করলে তিনি কখনো বলেননি ‘কেন তা করোনি’।
দুর্বলদের প্রতি দয়া : আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. বলেছেন, ‘একদিন আমি আমার এক দাসকে প্রহার করছিলাম, হঠাৎ আমার পিছন দিক থেকে শব্দ শুনতে পেলাম। জেনে রাখ হে ইবনে মাসউদ! আল্লাহ তাঁর পক্ষ হয়ে তোমার থেকে প্রতিশোধ গ্রহণ করতে অনেক বেশি শক্তিশালী। আমি পিছনে লক্ষ্য করতেই দেখলাম, তিনি সা.। তখন আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে আযাদ, আমি তাকে মুক্ত করে দিলাম। উত্তরে তিনি বললেন, যদি তুমি এ কাজ না করতে তাহলে জাহান্নামের আগুন তোমাকে স্পর্শ করতো।’ (মুসলিম) মানুষের প্রতি দয়া : জারির ইবনে আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, ‘যে মানুষের প্রতি দয়া করে না, আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না।’ (মুসলিম-২৩১৯) ছোটদের প্রতি দয়া ও বড়দের প্রতি সম্মান : আবু দাউদ বর্ণিত হাদিসে এসেছে রাসূল সা. বলেন: সে আমাদের দলভুক্ত নয়, যে আমাদের ছোটদের প্রতি রহম করে না আর আমাদের বড়দের মর্যাদা জানে না।’ (আবু দাউদ) আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, একদা রাসূল সা. নিজ নাতি হাসান রা. আনহুকে চুমু খেলেন। সে সময় তাঁর কাছে আকরা বিন হারেস রা. উপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, আমি দশ সন্তানের জনক। কিন্তু আমি কখনও তাদের আদর করে চুমু খাইনি। তখন রাসূল সা. তার দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘যে দয়া করে না, তার প্রতিও দয়া করা হয় না।’ (বুখারি-৫৬৫১) ইয়াতিম ও মিসকিনদের প্রতি দয়া : আবু হুরায়রা রা. বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসূল সা.কে তার অন্তরের কঠোরতার অভিযোগ করলে রাসূল সা. তাকে বলেন, ইয়াতিমদের প্রতি সহানুভূতিশীল হও এবং গরিবদের আহার করাও।’ (আহমাদ) আবু সাঈদ খুদরী রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, ‘তোমরা মিসকিনদের ভালোবাস’। কেননা আমি রাসূল সা. তাঁর দু’আয় বলতে শুনেছি, হে আল্লাহ! তুমি আমাকে মিসকিন রূপে জীবিত রাখ, মিসকিন রূপে মৃত্যুদান কর এবং মিসকিনদের দলভুক্ত করে হাশরের ময়দানে উত্থিত কর।’ (ইবনু মাজাহ-৪১২৬; সিলসিলা সহিহাহ-৩০৮) রাসূল সা. সমগ্র মানবতার জন্য রহমদিল ছিলেন : রাসূল সা. কেবলমাত্র মানবজাতির জন্যই রহমদিল ছিলেন না বরং সকল জীবজন্তুর জন্যও দয়ালু ছিলেন। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রা. থেকে বর্ণিত এক হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল সা. বলেন- রহমকারীদের প্রতি মহান দয়াময় আল্লাহ রহম ও দয়া করেন। দুনিয়াতে যারা আছে তাদের প্রতি তোমরা দয়া করো, তাহলে আসমানে যিনি আছেন, তিনি তোমাদের রহম করবেন।’ (আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিজি ও হাকেম) রাসূল সা. সবার প্রতি ছিলেন রহমদিল। যিনি মানব ইতিহাসে অদ্বিতীয়। রাসূল সা.-এর জীবনের কিছু ঘটনা... তায়েফের ঘটনা : নবীজি সা. তায়েফবাসীকে দাওয়াত দিতে গেলেন, তায়েফবাসীরা রাসূল সা. বিদ্রƒপ করলো। পাথর মেরে রক্তাক্ত করল। মহানবীর রক্তে জুতোতে জমাট বেঁধে গেল। ফেরেস্তারা তায়েফবাসীর শাস্তি প্রদানের জন্য অনুমতি চাইলেন। কিন্তু রহমাতুল্লিল আলামিন শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন এবং তাদের হেদায়াতের জন্য পরওয়ারদিগারের নিকট দোয়া করেছিলেন।
বৃদ্ধা মহিলার ঘটনা : সেই বৃদ্ধ মহিলার কথা আমরা কম বেশি জানি। যিনি পথে কাঁটা দিয়ে রাসূল সা.কে কষ্ট দিতেন। আল্লাহর রাসূল সা. একদিন দেখলেন সেই বুড়ি আর পথে কাঁটা বিছায়নি। তখন রাসূল সা. খোঁজ নিয়ে জানলেন তিনি অসুস্থ। তখন রাসূল সা. সেই বৃদ্ধার বাড়ি গিয়ে তার খেদমতে হাজির হলেন। বৃদ্ধা মহিলা রাসূল সা.কে দেখে অভিভূত হলেন। সেই মহিলা ইসলাম গ্রহণ করলেন। ইয়ামামার গভর্নর হযরত সুমামা রা.-এর ঘটনা : মক্কার মুশরিকরা নবীজি সা. ও তাঁর সাহাবীগণকে যে কী নির্যাতন করেছে, কত কষ্ট দিয়েছে তা সকলের জানা। সে যুগে মক্কায় সকল প্রকার খাদ্য সরবরাহের প্রধান কেন্দ্র ছিল ইয়ামামা। ওখানকার খাদ্য দিয়েই মক্কাবাসীরা নিজেদের জীবিকার কাজ আঞ্জাম দিতো। কিন্তু ইয়ামামার গভর্নর হযরত সুমামা রা.-কে আল্লাহ তায়ালা ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় দিলেন। ইসলাম গ্রহণের পর দীপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করলেন, মক্কার বেঈমান মুশরিকরা- যারা আমার প্রিয় নবী ও তাঁর অনুগতদেরকে কষ্ট দেয় ও নির্যাতন করে, ইয়ামামা থেকে তাদের জন্য একটি শস্যকণাও প্রেরণ করা হবে না। সুমামা রা.-এর নির্দেশের সাথে সাথে মক্কার মাঝে খাদ্যাভাব দেখা দিলো। মানুষের মাঝে হাহাকার শুরু হয়ে গেলো। শিশু-কিশোর, যুবক-বৃদ্ধ সকলের কষ্টে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত হয়ে উঠলো। মক্কার মুশরিকদের এহেন করুণ অবস্থা রাসূল সা. মেনে নিতে পারলেন না। তৎক্ষণাৎ হযরত সুমামার প্রতি নির্দেশ দিয়ে পাঠালেন, যাতে মক্কার মুশরিকদের থেকে খাদ্য প্রেরণের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
রক্তপাতহীন মক্কা বিজয় : রাসূল সা.কে তাওহিদের বাণী প্রচারের অপরাধে তাঁর পরিবার পরিজন ও সঙ্গী-সাথীদেরকে নিয়ে আল্লাহর নির্দেশে মনে নিদারুণ বেদনা নিয়ে মক্কা ছাড়তে হয়েছে। দীর্ঘ সময় মক্কার বাহিরে ছিলেন, জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আবার যখন মক্কায় বিজয়ী বেশে ফিরে এলেন সবাইকে ক্ষমা করে দিলেন। যার নজির পৃথিবীতে অদ্বিতীয়। এছাড়াও প্রতিটি যুদ্ধাভিযানে রাসূল সা. শত্রু পক্ষকে কখনো আগে ভাগে আক্রমণ করতেন না। শত্রুপক্ষের আক্রমণের শিকার হলে যুদ্ধে আক্রমণে অংশগ্রহণ করতেন। রাসূল সা. ক্ষমা করতে পছন্দ করতেন : রাসূল সা. মানুষকে সহজ ও কুটিলতা মুক্ত করতে ও ক্ষমা করতে পছন্দ করতেন। সহিহ বুখারিতে আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন : ‘তোমরা সহজ করো, কঠিন করো না। সুসংবাদ দাও, ঘৃণা সৃষ্টি করো না।’ (বুখারি) ইমাম আহমাদ ও তাবারানিতে বর্ণিত বিশুদ্ধ সনদে এসেছে, রাসূল সা. একদা মিম্বরে দাঁড়ানো অবস্থায় বলেন: ‘তোমরা দয়া করো, দয়া পাবে। ক্ষমা করো, ক্ষমা পাবে।’ (মুসনাদে আহমদ) সহিহ মুসলিমে এসেছে আবু হুরাইরা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন: ‘ভালোবাসা, দয়া, সহানুভূতির দিক দিয়ে মুমিনদের দৃষ্টান্ত হলো একটি দেহের ন্যায়। দেহের একাংশ আক্রান্ত হলে সমগ্র দেহ জ্বরগ্রস্ত ও নিদ্রাহীন হয়ে পড়ে।’ (মুসলিম) ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসূল সা. বলেন, ‘আমি আল্লাহর প্রেরিত রহমত, যাতে (আল্লাহর আদেশ পালনকারী) এক সম্প্রদায়কে গৌরবের উচ্চাসনে আসীন করি এবং (আল্লাহর আদেশ অমান্যকারী) অপর সম্প্রদায়কে অধঃপতিত করে দেই।’ (মারেফুল কুরআন : পৃ-৮৯২) রাসূল সা.-এর যুগে সব ধর্মাবলম্বী একত্রিত হয়েই তাঁর দাওয়াতি কাজের বিরোধিতা করেছে। তাঁকে গালি দিয়েছে, মিথ্যাবাদী, জাদুকর, জ্যোতিষী, কবি এবং পাগল ইত্যাদি বলে সামাজিকভাবে বয়কট করেছে, মক্কার অবৈধ নাগরিক বলে ঘোষণা করেছে। শুধু এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় শেয়াবে আবু তালেবের মধ্যে তিন বছর আটক থাকতে হয়েছে। এ অবস্থায় গাছের পাতা, গাছের ছাল ইত্যাদি খেয়েও জীবন অতিবাহিত করতে হয়েছে। বায়তুল্লাহর আঙ্গিনায় লাঞ্ছিত হয়েছেন, কখনো সিজদাবস্থায় আবু জাহল মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত করে দিয়েছে, পশুর দুর্গন্ধযুক্ত নাড়ি-ভুঁড়ি মাথায় নিক্ষেপ করেছেন। এত কষ্ট দেয়ার পরও তিনি মক্কাবাসীদের প্রতি বিরক্ত হননি। বরং তাদের প্রতি রহমতের হাত প্রসারিত করে দিয়েছেন।
রাসূল সা. আল্লাহর সর্বশেষ নবী ও রাসূল। তিনি উম্মতের জন্য অত্যন্ত দয়াশীল ছিলেন। তাই তিনি দুনিয়ার জীবনের পাশাপাশি আখেরাতের মহা সাফল্য লাভের জন্য সাহাবি আজমায়িনদের পেরেশান হয়ে সতর্ক করতেন এবং চূড়ান্ত সফলতার সুসংবাদ দিতেন। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে এহেন অনুকরণীয় ও রহমদিল ব্যক্তি আল্লাহর এ ধরায় আসেনি। এই অশান্ত পৃথিবীতে যদি শান্তি প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হয় আল্লাহর রাসূল সা.-এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক
আপনার মন্তব্য লিখুন