post

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ কোন দিকে যাচ্ছে

মুজতাহিদ ফারুকী

১৪ নভেম্বর ২০২২

ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধাভিযান শুরু হয় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি। তখন থেকেই এটিকে রাশিয়ার সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসন হিসেবে বিশ্লেষণ করা হয়ে আসছে। বিশ্লেষণ অযথার্থ এমন নয়, তবে এর পেছনে আরও গূঢ় কারণ আছে। ইউক্রেনীয় একজন বিশ্লেষক মারিয়াম নাঈম আল-জাজিরাকে যেমনটা বলেছেন, সেটি হলো দুই সংস্কৃতির মধ্যকার দ্বন্দ্ব। রুশরা নিজেদেরকে ‘মহান রুশীয়’ (Great Russian) আর ইউক্রেনীয়দের ‘বামন রুশীয়’ (Little Russian) বলে মনে করে। এটি হলো রুশদের শ্রেষ্ঠত্ববাদী মনোভাবের অংশ। এই শ্রেষ্ঠত্বের দাবিতেই শত শত বছর ধরে তারা মনে করে আসছে, খুদে রুশদের অবশ্যই দাদা রুশদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে। তবে এই রুশ বিশ্বে ইউক্রেনের সীমিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা থাকবে। এভাবেই চলছিলো। কিন্তু ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ রাশিয়া ক্রিমিয়া দখল করে নিলে রুশ সংস্কৃতির সঙ্গে ইউক্রেনীয় সংস্কৃতির বিচ্ছিন্নতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং ইউক্রেনবাসী নিজেদের স্বাধীন সত্তার বিষয়ে পুরো মাত্রায় সচেতন হয়ে ওঠে। এরপর গত এক দশকে সেখানে যেসব রাজনৈতিক ঘটনায় রাশিয়ার হস্তক্ষেপ হয়েছে সবই স্থানীয় মানুষের মনের আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে মাত্র। আর ২৪ ফেব্রæয়ারির সামরিক অভিযান রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কোনও ধরনের নৈকট্যের অনুভ‚তি ধুয়ে মুছে দেয়। রাশিয়ার দাদাগিরি আর ইউক্রেনীয়রা বরদাশত করতে রাজি নয়। এই প্রেক্ষাপট সামনে রেখেই বর্তমান যুদ্ধের ব্যাখ্যা করতে হবে।

এরই মধ্যে যুদ্ধের সাত মাস পেরিয়ে গেছে। এখন বোঝা যাচ্ছে, যুদ্ধ আরও দীর্ঘস্থায়ী হবে। তিন দিনের মধ্যে রাজধানী কিয়েভ দখল এবং সাত দিনের মধ্যে পুরো ইউক্রেন দখলে নেওয়ার যে টার্গেট নিয়ে রাশিয়া যুদ্ধাভিযান শুরু করেছিল, সন্দেহ নেই, তা ব্যর্থ হয়েছে। দখল করে নেওয়া অনেক এলাকা থেকে রাশিয়া এরই মধ্যে পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়েছে। যদিও তারা দখল করা চারটি এলাকা রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে নিয়েছে রীতিমত গণভোট করে। কিন্তু সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রাভিযান নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। তারা এখন রাশিয়ার দখল করা খেরসন শহরটি পুনরুদ্ধারে অভিযানে নামতে শুরু করেছে। এই অভিযানের খবরে শহরটিতে রুশ কর্তৃপক্ষ যে সুবিধাজনক অবস্থানে নেই সেটি স্পষ্ট। কারণ নগর রুশ কর্তৃপক্ষ এখানকার নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারছে না। কর্তৃপক্ষ এখন খেরসনের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে সরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে। অন্তত ৬০ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়ার কাজও শুরু হয়ে গেছে। স্পষ্টতই, পরিস্থিতি রুশদের অনুক‚লে নেই।

এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হয়ে পড়ার এবং এতে একাধিক রাষ্ট্রের জড়িত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। রাশিয়ার অনুগত প্রতিবেশী দেশ বেলারুশ এরই মধ্যে রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধের একটি পক্ষ বলা যেতে পারে। কারণ দেশটি অস্ত্র-সরঞ্জাম, ভ‚মি এমনকি সৈন্য দিয়েও রাশিয়াকে সাহায্য করছে। আর গত ১০ অক্টোবর বেলারুশ ঘোষণা করে তারা রাশিয়ার পক্ষে যুদ্ধে নামবে। রুশ-বেলারুশ যৌথবাহিনী যুদ্ধে যাবে। এই যোগদান এমনকি পুতিনের জন্যও ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। কিন্তু ঘটনাটি এখন অনিবার্য হয়ে উঠতে যাচ্ছে বলেই মনে হয়। আবার রাশিয়ার বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশ নিজেদের নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে রাশিয়ার তীব্র সমালোচনা করছে। এস্তোনিয়ার পার্লামেন্ট রাশিয়াকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে ঘোষণা করেছে। ১০১ সদস্যের পার্লামেন্টে ৮৮ জন পক্ষে ভোট দেন। এর আগে লাটভিয়া ও লিথুয়ানিয়াও একই ঘোষণা দেয়।

অন্যদিকে ইরান পরোক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে। ইরান কখনওই রাশিয়ার মিত্র নয়। বরং বৈশি^ক প্রেক্ষাপটে ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিদ্ব›দ্বী অথবা বৈরী। কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রির অভিযোগ আনা হয়েছে ইরানের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি রাশিয়া আত্মঘাতী ড্রোন ব্যবহার করে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের অনেকগুলি বিদ্যুৎস্থাপনা ধ্বংস করে দেওয়ার পর পাশ্চাত্যের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, ইরান এসব ড্রোন রাশিয়াকে দিয়েছে। হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ৩০ শতাংশ বা এক-তৃতীয়াংশই ধ্বংস হয়েছে বলে জানায় কিয়েভ। জেলেনস্কি বলেন, উপর্যুপরি বাড়তি হামলায় দেশের বিরাট অংশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। তবে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার সম্ভাবনা নাকচ করে দেন। একইসঙ্গে তার দেশ ইরানের সঙ্গে ক‚টনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করবে বলেও ঘোষণা দেয়। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারীদের মধ্যে আছে ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানির মত ক্ষমতাধর দেশও। এই দেশগুলো কিন্তু ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির অচলাবস্থা নিরসনের পক্ষে একটি বাক্যও ব্যয় করেনি। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে জাতিসংঘের কাছে চিঠি লিখে রাশিয়াকে ইরানি ড্রোন বিক্রির বিষয়ে তদন্তের আহবান জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আরও একধাপ এগিয়ে অভিযোগ করেছে, ইরানি সেনাসদস্যরা এখন রাশিয়ানদেরকে ড্রোন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। সুতরাং, ইরান রাশিয়ার মিত্র না হলেও দেশটিকে এই যুদ্ধে বলা যায় রাশিয়ার সঙ্গে ট্যাগ করা হয়েই গেছে।

বৈশি^ক প্রেক্ষাপট জানা থাকলে ইরানের পক্ষে রাশিয়ায় ড্রোন বা ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি অস্বাভাবিক মনে হবে না। বরং বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র পশ্চিমা দেশগুলোই ইরানকে বাধ্য করেছে এমন একটি পদক্ষেপ নিতে। ইসলামি বিপ্লবের পর থেকেই দেশটির সরকার উৎখাতে এমন কোনও কাজ নেই যা করেনি এসব দেশ। ৪০ বছর ধরে কঠোরতর অবরোধ দিয়ে দেশটিকে পঙ্গু করে ফেলার সব আয়োজন করেছে। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে একের পর এক। কখনও অর্থনৈতিক দুরবস্থার অজুহাতে কখনও হিজাব না পরার হুজুগ তুলে। আর সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার অভিযোগে আন্তর্জাতিকভাবে দেশটিকে একঘরে করার সব আয়োজনও করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। প্রধানত অর্থনৈতিক কারণে এবং অংশত আঞ্চলিক রাজনীতিতে সুবিধাজনক অবস্থান জোরদার করতে ইরান রাশিয়ার কাছে ড্রোন বিক্রি করতে বাধ্য হয়ে থাকতে পারে। 

মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান এই অস্ত্র বিক্রি থেকে দুইভাবে লাভবান হবে। প্রথমত, ড্রোন বিক্রি করে প্রচুর অর্থ পাবে। যদ্দুর জানা যায়, একেকটি ড্রোনের দাম ২০ হাজার মার্কিন ডলার। দ্বিতীয়ত, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে সৈন্যের ঘাটতি মেটাতে সিরিয়ায় নিয়োজিত সৈন্য তুলে নিয়ে গেলে সেখানে ইরানি বাহিনীর অবস্থান নেওয়ার সুযোগ হবে। এতে আঞ্চলিক আধিপত্যের ক্ষেত্রে সুবিধাজনক অবস্থান পাবে ইরান। আরেকটি বিষয় হলো, এই প্রথম কোনো বৃহৎ শক্তির কাছে অস্ত্র বিক্রির মধ্য দিয়ে বিশে^র অস্ত্রবাজারে ইরানের জোরালো অভিষেক হলো।

ইউক্রেনের একজন সাবেক ডেপুটি সেনাপ্রধান আইহর রোমানেনকো বার্তা সংস্থা আল জাজিরাকে বলেছেন, রাশিয়া ভুল করে নিজেদের সশস্ত্রবাহিনীর অতিমূল্যায়ন করে ফেলেছিল এবং ইউক্রেন বাহিনীর শক্তি খাটো করে দেখেছিল। রুশরা ভাবতে পারেনি, গোটা পাশ্চাত্য ইউক্রেনের পাশে সুসংবদ্ধভাবে দাঁড়াবে। রোমানেনকো বলেন, এই যুদ্ধ ঠিক কোনদিকে গড়াবে এবং কখন এটা শেষ হবে সে বিষয়ে পূর্বাভাস দেওয়া কারও পক্ষে সম্ভব নয়। তবে একটি বিষয় শুরু থেকেই জানা ছিল যে, শেষ পর্যন্ত রাশিয়া হারবে। এদিকে পাশ্চাত্যের সর্বাত্মক অবরোধ নিষেধাজ্ঞায় ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে রাশিয়া। বিপরীতে বিপুল আর্থিক ও সামরিক সহায়তা পেয়ে শক্তিশালী হচ্ছে ইউক্রেন। একইসঙ্গে রাশিয়া অবশিষ্ট বিশ্ব থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

সাত মাস আগে রাশিয়া যখন ইউক্রেন সামরিক অভিযান শুরু করে তখন অনেকেরই ধারণা ছিল যুদ্ধটা হবে সংক্ষিপ্ত। পাশ্চাত্যের বিশ্লেষকসহ বিশ্বের অনেক তাত্ত্বিক পরাশক্তি হিসাবে রাশিয়ার ভাবমর্যাদার বিষয়টিকেই বড় করে দেখেছিলেন। একইসঙ্গে ইউক্রেনের সামরিক শক্তির খর্বতাও তাদের বিবেচনায় ছিল। সর্বোপরি কেউ ভাবতেও পারেননি যে, সাবেক এক কৌতুকাভিনেতা, যিনি ইউক্রেনের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট, সেই ভলোদিমির জেলেনস্কি আদৌ কোনো সামরিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবেন।

পুতিন নিজেও সম্ভবত এরকম ভেবেই সামরিক হামলা শুরু করেছিলেন। ইউক্রেন ভয় পাবে এবং তার সব শর্ত মেনে নিয়ে আত্মসমর্পণ করবে এমনই ছিলো তার বা তার পরামর্শকদের ধারণা। সে ধারণা ঠিক ছিল না। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ভয়ে রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যাননি, করজোড়ে ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব থেকে সরেও যাননি। তিনি একজন প্রকৃত নেতার মতই রুখে দাঁড়িয়েছেন। নিজের যেটুকু শক্তি আছে তাই নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছেন। বন্ধু রাষ্ট্রবর্গের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। তার দৃঢ়তার কারণেই অতিশয় দুর্বল একটি সেনাবাহিনী হাতে পুরনো অস্ত্রশস্ত্র নিয়েও প্রবল পরাক্রমশালী শত্রুর বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে দিন যতই গড়িয়েছে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে পাল্টেছে।

ইউক্রেনের জন্য ন্যাটো জোটভুক্ত পাশ্চাত্যের সব দেশের সামরিক ও আর্থিক সহায়তা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছে। গত সাত মাসে আমেরিকা ও তার ন্যাটো জোটের মিত্ররা ইউক্রেনকে যে পরিমাণ সামরিক সরঞ্জাম ও অন্যান্য সহায়তা দিয়েছে তা মুষিককে বাঘে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট। এই সহায়তা প্রতিদিনই বাড়ছে।

সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেনকে তার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো ধরে রাখতে হলে জরুরি-ভিত্তিতে প্রয়োজন হবে অত্যাধুনিক কামান এবং গোলা-বারুদ। সেই ব্যবস্থাও হচ্ছে।

ওদিকে পুতিনের বিরুদ্ধে আরেক ধরনের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। তারা ইউক্রেন যুদ্ধকে এরই মধ্যে পুতিনের পরাজয়ের উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরতে শুরু করেছেন। সন্দেহ নেই, পুতিনের কাছ থেকে যত সহজে ইউক্রেন বিজয়ের ধারণা বিশ্ব করেছিল সেটা পুতিন অর্জন করতে পারেননি। তবে এটাও স্পষ্ট যে, রাশিয়ার অর্থনৈতিক সক্ষমতা দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যাবে এবং পুতিন পাততাড়ি গুটিয়ে ইউক্রেন ছেড়ে সহসাই ঘরে ফিরে যাবেন এমন সম্ভাবনা কম। আর যুদ্ধ যদি আরও ছয় মাস ধরে চলতে থাকে তাহলে পাশ্চাত্যের জন্যও বিপদ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র ইউরোপের গণতান্ত্রিক দেশগুলোর জন্য।

যুদ্ধের যুক্তি দিয়ে ফ্রান্স, ব্রিটেন বা জার্মানির নেতারা তাদের জনগণকে বলতে পরবেন না, পুতিন গ্যাস দিচ্ছে না, গাড়ি ব্যবহার কিছুদিন বন্ধ রাখুন। বলতে পারবেন না, দিনে দুই এক ঘণ্টা অন্ধকারে থাকুন। জ্বালানি সাশ্রয় করুন।

সুতরাং যুদ্ধের মোড় কোনদিকে যায় তা দেখার জন্য আমাদের আরও অন্তত দুয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যে কেউ সব শক্তি দিয়ে পাল্টা আঘাত করতে পারে। পাশ্চাত্য কিন্তু পুতিনের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দেয়ারই চেষ্টা করছে। এতে বিপদ বাড়তে পারে। সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হলেও রাশিয়া পরমাণু হামলার ঝুঁকি নিলে সেটি হবে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়, যা কোনোভাবেই কারও কাম্য হতে পারে না।

লেখক : কলামিস্ট ও সিনিয়র সাংবাদিক

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির