post

সম্পর্কের বন্ধন ও প্রতিশ্রুতি রক্ষায় মুমিনের সচেতনতা

মাওলানা মহিউদ্দিন

০৭ মে ২০২২

الَّذِیْنَ یُوْفُوْنَ بِعَهْدِ اللّٰهِ وَ لَا یَنْقُضُوْنَ الْمِیْثَاقَۙ-- وَ الَّذِیْنَ یَصِلُوْنَ مَاۤ اَمَرَ اللّٰهُ بِهٖۤ اَنْ یُّوْصَلَ وَ یَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَ یَخَافُوْنَ سُوْٓءَ الْحِسَابِؕ- وَ الَّذِیْنَ صَبَرُوا ابْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّ عَلَانِیَةً وَّ یَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَةِ السَّیِّئَةَ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عُقْبَى الدَّارِۙ-

অনুবাদ
আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অঙ্গীকার পালন করে এবং তাকে প্রদানকৃত প্রতিশ্রুতি মজবুত করে বাঁধার পর ভেঙে ফেলে না।
তাদের নীতি হয়, আল্লাহ যেসব সম্পর্ক ও বন্ধন অক্ষুণœ রাখার হুকুম দিয়েছেন সেগুলো তারা অক্ষুণœ রাখে, নিজেদের রবকে ভয় করে এবং তাদের থেকে কড়া হিসাব না নেওয়া হয় এই ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকে।
তাদের অবস্থা হয় এই যে, নিজেদের রবের সন্তুষ্টির জন্য তারা সবর করে, নামাজ কায়েম করে, আমার দেওয়া রিজিক থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে খরচ করে এবং ভালো দিয়ে মন্দ দূরীভূত করে। আখেরাতের গৃহ হচ্ছে তাদের জন্যই। অর্থাৎ এমন সব বাগান যা হবে তাদের চিরস্থায়ী আবাস। (সূরা রাদ : ২০-২২)

নামকরণ
সূরার ১৩ নম্বর আয়াত রাদ (মেঘের গর্জন) থেকে নামকরণ করা হয়েছে।

নাজিলের সময়কাল
সূরাটির বর্ণনাভঙ্গি থেকে বুঝা যায়-
১) রাসূল সা.-এর দাওয়াত শুরু করার পর দীর্ঘকাল অতিবাহিত হয়েছে। কিন্তু এর পরেও বিরোধীপক্ষ নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
২) মুমিনরা আকাক্সক্ষা করছিল যে, হায়! এই লোকদেরকে যদি কোনো অলৌকিক ঘটনার মাধ্যমে ঈমানের পথে আনা যেত। মুমিনদের বুঝিয়ে দেওয়া হলো যে, জোর করে ঈমানের পথে আনা আল্লাহর সুন্নাত নয়।
৩) কাফেরদের হঠকারিতা এমন পর্যায়ে গেল যে, কবর থেকে উঠে কেউ বললেও তারা বিশ্বাস করবে না। বরং নিজেদের পক্ষ থেকে কোনো না কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাবে।
উল্লিখিত বিষয়সমূহ থেকে অনুমান করা যায় সূরাটি মক্কার শেষ সময়ে নাজিল হয়েছে।

আলোচ্য বিষয়
১) কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু হলো যে, রাসূল সা. যা এনেছেন তা সত্য। কিন্তু কাফেররা ভুলের মধ্যে থাকায় বিশ্বাস করে না।
২) তাওহিদ, রিসালাত ও আখেরাতের সত্যতা প্রমাণ করা হয়েছে। ঈমানের নৈতিক ও আধ্যাত্মিক ফায়দা বুঝানো হয়েছে। কুফরি তথা অবিশ^াস আসলে মূর্খতা ও নির্বুদ্ধিতা।
৩) রিসালাত ও দাওয়াতের বিরুদ্ধে নানা প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়েছে এবং দীর্ঘ সংগ্রামে ক্লান্ত মুমিনদের সান্ত¡না দেওয়া হয়েছে।

ব্যাখ্যা
২০ নম্বর আয়াত

الَّذِیْنَ یُوْفُوْنَ بِعَهْدِ اللّٰهِ وَ لَا یَنْقُضُوْنَ الْمِیْثَاقَۙ
“আর তাদের কর্মপদ্ধতি এমন হয় যে, তারা আল্লাহকে প্রদত্ত নিজেদের অঙ্গীকার পালন করে এবং তাকে প্রদানকৃত প্রতিশ্রুতি মজবুত করে বাঁধার পর ভেঙে ফেলে না।”

১) মানবসৃষ্টির শুরুতে আলমে আরওয়াহে আল্লাহ তায়ালার প্রতি ঈমান ও বন্দেগির ওয়াদা নিয়েছিলেন স্বয়ং আল্লাহ। এখানে সেটাই বুঝানো হয়েছে।
২) প্রত্যেক মানুষের প্রকৃতির মধ্যে এই অঙ্গীকার নিহিত রয়েছে। যখন আল্লাহর সৃজনীকর্মের মাধ্যমে অস্তিত্ব লাভ করে প্রতিপালিত হতে থাকে তখনই আল্লাহর সাথে বান্দার ওয়াদা পাকাপোক্ত হয়ে যায়।
৩) আল্লাহর রিজিকের সাহায্যে জীবন যাপন, সৃষ্টিকে কাজে লাগানো এবং শক্তিগুলো ব্যবহার করা। এগুলো বান্দাকে একটা বন্দেগির অঙ্গীকারে বেঁধে ফেলে। যে কোনো ভালো কাজে দলগতভাবে আল্লাহর ওপর ভরসা করে অঙ্গীকারবদ্ধ হলে প্ল্যান বাস্তবায়ন যেমন সহজ হয় তেমন আল্লাহর সন্তুষ্টিও অর্জন করা যায়।
হযরত ওসমান রা.কে হত্যার গুজবে সাহাবায়ে কেরাম প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন। তাদের দৃঢ় সিদ্ধান্তে আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। যেমন- “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা সন্তুষ্ট হয়েছেন ঐ সকল মুমিনের ব্যাপারে যারা গাছের নিচে আপনার হাতে বাইয়াত বা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন।”
(সূরা ফাত্হ : ১৮)
এই অঙ্গীকার বা বাইয়াতের আলোকে মুমিনদের জীবন পরিচালনা করতে পারলে জান্নাত আবশ্যক। যেমন : আল্লাহ তায়ালা বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা জান্নাতের বিনিময়ে মুমিনদের কাছ থেকে জান ও মাল ক্রয় করে নিয়েছেন।
(সূরা তাওবা : ১১১)

২১ নম্বর আয়াত

ۙ- وَ الَّذِیْنَ یَصِلُوْنَ مَاۤ اَمَرَ اللّٰهُ بِهٖۤ اَنْ یُّوْصَلَ وَ یَخْشَوْنَ رَبَّهُمْ وَ یَخَافُوْنَ سُوْٓءَ الْحِسَابِؕ-

“মুমিনদের নীতি হলো, আল্লাহ যেসব সম্পর্ক ও বন্ধন অক্ষুণœ রাখার হুকুম দিয়েছেন সেগুলো তারা অক্ষুণœ রাখে, নিজেদের রবকে ভয় করে এবং তাদের থেকে কড়া হিসাব না নেওয়া হয় এই ভয়ে সন্ত্রস্ত থাকে।”

এ আয়াতে সম্পর্ক স্থাপনের নির্দেশ এবং ছিন্ন করার কঠিন হিসাবের ইঙ্গিত রয়েছে। পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হলে সামগ্রিক জীবনে কল্যাণ নিশ্চিত।

পারিবারিক সম্পর্ক : মা-বাবা, ভাই-বোন, স্ত্রী-সন্তান নিয়েই পরিবার। সুখ ও দুঃখে পরিবারের সদস্যরাই বেশি অংশীদার হয়। তাই তাদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখা আবশ্যক। আল্লাহ তায়ালা বলেন, আল্লাহর ফায়সালা হলো যে, একমাত্র তার ইবাদত করবে তারপর পিতা-মাতার খেদমত করবে।
(সূরা বনি ইসরাইল : ২৩)
আবদুল্লাহ ইবনে আমর থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, কবিরা গুনাহ হলো: আল্লাহর সাথে শিরক করা, পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া, মানুষ হত্যা করা এবং মিথ্যা শপথ করা। (বুখারি) আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, তার নাক ধুলায় মলিন হউক, তার নাক ধুলায় মলিন হউক, তার নাক ধুলায় মলিন হউক। (অর্থাৎ ধ্বংস হউক) যে তার মা-বাবার একজন বা দুইজনকে পেল কিন্তু জান্নাতে প্রবেশ করতে পারেনি। (মুসলিম) আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, পৃথিবীর সবকিছুই সম্পদ আর সর্বোত্তম সম্পদ হলো সৎকর্মশীলা স্ত্রী। (মুসলিম)

সামাজিক সম্পর্ক : হজরত জুবাইর রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না। আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, সম্পর্ক স্থাপনকারী ঐ ব্যক্তি নয় যে, সদাচরণের পরিবর্তে সদাচরণ করল বরং সে ব্যক্তি যে ভাঙা সম্পর্ক জোড়া লাগালো। (বুখারি) হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, যে রিজিক ও হায়াতের মধ্যে বরকত চায় সে যেন আত্মীয়তার সম্পর্ক ঠিক রাখে। (মুত্তাফাকুন আলাইহি) বারা বিন আজেব হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, খালা হলো মায়ের সমতুল্য। (তিরমিজি)

সাংস্কৃতিক সম্পর্ক : জীবন পরিচালনার রীতিনীতিই হলো সংস্কৃতি। আত্মীয়তার স্বজনের বাইরে আদর্শিক ও পরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখা উচিত।

এই সম্পর্ক শুধু আল্লাহর জন্য : আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, শুধু আল্লাহর জন্য যারা পরস্পরকে ভালোবেসেছে তাদেরকে আখেরাতে এমন মিনারে রাখা হবে যা দেখে নবী ও শহীদরা ঈর্ষান্বিত হবে। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)
আনাস রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, নিজের জন্য যা ভালোবাসে তা অন্যের জন্য ভালোবাসে না সে ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবে না। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

২২ নম্বর আয়াত
ؕ- وَ الَّذِیْنَ صَبَرُوا ابْتِغَآءَ وَجْهِ رَبِّهِمْ وَ اَقَامُوا الصَّلٰوةَ وَ اَنْفَقُوْا مِمَّا رَزَقْنٰهُمْ سِرًّا وَّ عَلَانِیَةً وَّ یَدْرَءُوْنَ بِالْحَسَنَةِ السَّیِّئَةَ أُولَٰئِكَ لَهُمْ عُقْبَى الدَّارِۙ-
“তাদের অবস্থা হয় এই যে, নিজেদের রবের সন্তুষ্টির জন্য তারা সবর করে, নামাজ কায়েম করে, আমার দেওয়া রিজিক থেকে প্রকাশ্যে ও গোপনে খরচ করে এবং ভালো দিয়ে মন্দ দূরীভূত করে। আখেরাতের গৃহ হচ্ছে তাদের জন্যই। অর্থাৎ এমন সব বাগান যা হবে তাদের চিরস্থায়ী আবাস।”

মুমিনরা সর্বাবস্থায় আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে সবর করবে।
এখানে সবরের অর্থ হলো-
১) নিজের প্রবৃত্তি ও আকাক্সক্ষা নিয়ন্ত্রণ করা।
২) আবেগ ও ঝোঁক-প্রবণতাকে সীমার মধ্যে রাখা।
৩) আল্লাহর নাফরমানিতে লোভে পা পিছলিয়ে না যাওয়া।
৪) আল্লাহর হুকুম পালনে কষ্ট সহ্য করা।

ধৈর্যবান মুমিনদের জন্য সার্বক্ষণিক কল্যাণ নিহিত : আবি ইয়াহিয়া হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, মুমিনদের বিষয়টি আশ্চর্যের। যখন কোনো সুসংবাদ আসে, মুমিন শুকরিয়া আদায় করে যা তার জন্য কল্যাণকর আর যখন বিপদ আসে মুমিন তখন সবর করে এটাও তার জন্য কল্যাণকর। (মুসলিম)

সকল প্রকার বিপদে সবর করা আবশ্যক : আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, মুসলিম জীবনে বিপদ, মুসিবত, চিন্তা, দুঃখ, কষ্ট এমনকি কাঁটা ফুটলেও আল্লাহ গুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)

সবরের বিপরীত ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করা সবরকারীর জন্য জরুরি : আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেন, সে শক্তিশালী নয় যে কুস্তি খেলতে এগিয়ে। বরং সেই শক্তিশালী যে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম। (মুত্তাফাকুন আলাইহি) নামাজ কায়েম করা মুমিনদের জন্য সর্বোত্তম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। ঈমানের পরই নামাজের মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর কাছে দৈনিক হাজিরা দেয়। হাজিরা না দিলে মুমিনের অ্যাডমিশন খাতা থেকে নাম কাটা যায়। তাই নামাজই হলো মুমিন ও কাফেরের মধ্যে পার্থক্যকারী ইবাদত। মুমিন যেমন নিজে নামাজ পড়বে তেমন সবাইকে নিয়ে নামাজ কায়েমের চেষ্টা করবে। নামাজ কায়েমের মাধ্যমে একজন মুমিন সময়ানুবর্তিতা, আনুগত্য, শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ব, সাম্যের ট্রেনিং নিয়ে জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে কাজে লাগায়।

ধনসম্পদ আল্লাহর দান। আল্লাহ যাকে চান দান করেন অফুরান। মুমিনরা আল্লাহ প্রদত্ত সম্পদ তার রাস্তায় ব্যয় করে। যেহেতু রিয়ার সম্ভাবনা থাকে তাই গোপনে দান করে। সকলের উৎসাহের জন্য প্রকাশ্যে দান করা যায়। যেমন : তাবুক যুদ্ধের সময় ঘোষণা দিয়ে দান গ্রহণ করা হয়েছে। আবার হাশরে আল্লাহ এমন ব্যক্তিকে ছায়া দিবেন যে গোপনে দান করে।
মুমিনরা সর্বদা মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দেয়। এখানে এর কয়েকটি অর্থ-
১) অন্যায়ের পরিবর্তে ন্যায়কে সাহায্য করে।
২) জুলুমের পরিবর্তে ইনসাফ করে।
৩) মিথ্যার পরিবর্তে সত্য প্রচার করে।
৪) বিশ্বাসঘাতকতার পরিবর্তে বিশ্বস্ত আচরণ করে।

রাসূল সা. অন্য হাদিসে বলেন-
১) কারো প্রতি সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট থাকি না কেন যেন সর্বদা ইনসাফের কথা বলি।
২) যে আমার অধিকার হরণ করেছে আমি যেন তার অধিকার আদায় করি।
৩) যে আমাকে বঞ্চিত করেছে আমি যেন তাকে দান করি।
৪) যে জুলুম করে আমি যেন মাফ করি। (মুসনাদে আহমাদ)
হযরত ওমর রা.-এর বর্ণনা: যে তোমার প্রতি আচরণের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে না তুমি আল্লাহকে ভয় করে তার সাথে আচরণ কর।
এই গুণাবলির অধিকারী মুমিনদের জন্য থাকবে চিরসুখের জান্নাত। আর জান্নাতে থাকবে বাগানসমূহ ও আঙ্গুরসমূহ, পানপাত্র, অনর্থক কোনো কথা তারা শুনবে না; অবান্তর কোনো কাজ তারা প্রত্যক্ষ করবে না।
(সূরা নাবা : ৩১-৩৬)
সেদিন কিছু চেহারা হবে উজ্জ্বল, তারা রবের দিকে তাকিয়ে থাকবে। (সূরা কিয়ামাহ : ২২, ২৩)
জান্নাতিরা হেলান দিয়ে বসবে, চারপাশে বালকরা তাদের খেদমতে ব্যস্ত থাকবে, পছন্দনীয় স্বর্ণ রৌপ্যের পানপাত্র থাকবে, থাকবে পছন্দনীয় ফল, কাক্সিক্ষত পাখির ভুনা গোশত, বড় বড় চোখবিশিষ্ট হুর। (সূরা ওয়াকিয়া : ১৪-২২)

শিক্ষা
১) আলমে আরওয়াহে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকারের সাথে সমন্বয় করে দুনিয়ার জীবন পরিচালনা করতে হবে।
২) পরিবার, আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী, দ্বীনিভাই ও পরিচিত মানুষের সাথে সম্পর্ক অটুট রাখতে হবে।
৩) সকল প্রকার বিপদেও আল্লাহর হুকুম বাস্তবায়নে ধৈর্যশীল হতে হবে।

লেখক : গবেষক ও ইসলামী চিন্তাবিদ

আপনার মন্তব্য লিখুন

মুহাঃ মাসুম বিল্লাহ

- 4 months ago

আলহামদুলিল্লাহ, আরো সুন্দর আলোচনা করা হোক

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির