post

আরবি ভাষার অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও বাংলাদেশ

ড. মো. ইকবাল হোছাইন

১৯ ডিসেম্বর ২০১৭
যুক্তরাষ্ট্ররে ওহাইও র্আথসামাজকি ও র্ধমীয় বভিন্নি বষিয়ে কথা বলছলিাম ক্লবিল্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সলি ফর কালচারাল রলিশেনরে পরচিালক মসিসে র্কাটি ফারমনেরে সাথ। কাল স্যুট টাই পরা ক্যাথোলকি খ্রষ্টিান মধ্যবয়সী র্স্মাট মহলিা মসিসে র্কাটরি সাথে কথা বলতে গয়িে দখেলাম তনিি আরব সাহত্যি- সংস্কৃতি সর্ম্পকে অনকে কছিুই জাননে। আরবদরে সর্ম্পকে জানার কারণ সর্ম্পকে জজ্ঞিসে করতইে বলে উঠলনে কী বলনে, আরবি ভাষার দখল এখানে জব র্মাকটেরে বাড়তি আর্কষণ। কী সরকারি চাকরি অথবা করপোরশেন। আমার বড় ছলেে গ্র্যাজুয়শেনরে পর আরবি শখিার জন্য দোহায় ৬ মাস থকেছে। দখেছনে না আমার মাথায় র্কাফ। এটা আমার ছলেরে পছন্দইে এখন নয়িমতি পরধিান কর। চাকরপ্রার্থী আমরেকিানদরে কাছে আরবি কবেল মুসলমানদরে ভাষা নয়, উন্নত জীবনরে হাতছানওি বট। আরবরি আর্ন্তজাতকি গুরুত্ব র্সবজনস্বীকৃত। জাতসিংঘরে ছয়টি ভাষার অন্যতম আরবি ভাষাকে ইউনস্কেো ২০১০ সাল থকেে ১৮ ডসিম্বেরকে আর্ন্তজাতকি আরবি ভাষা দবিস হসিবেে ঘোষণা কর। ইউনস্কেো জাতসিংঘরে আরো পাঁচটি ভাষা ও আর্ন্তজাতকি ‘মাদার ল্যাংগুয়জে ড’কওে আর্ন্তজাতকি দবিস হসিবেে স্বীকৃতি দয়িছে। এটা আমাদরে জন্য র্গবরে যে ‘আর্ন্তজাতকি মাদার ল্যাংগুয়জে ড’র জন্ম বাংলাদশে। ১৯৫২ সালে অনকে শহীদরে রক্তরে বনিমিয়ে আমরা বাংলাভাষার স্বীকৃতি র্অজন করছেি আর আজকে পৃথবিী পয়েছেে ‘আর্ন্তজাতকি মাতৃভাষা’ দবিস যা ইউনস্কেো র্কতৃক স্বীকৃত। আরবি পৃথবিীর পঞ্চম শক্তশিালী ভাষা। কবেল স্পকিং জনসংখ্যার ওপরই ভাষার গুরুত্ব নর্ধিারতি হয় না বরং কপেআিই (দি পাওয়ার ল্যাংগুয়জে ইনডক্সে) এর নর্ধিারতি ২০টি সূচকরে মাধ্যমে বশ্বিরে শক্তশিালী বা গুরুত্বর্পূণ ভাষার সূচক নর্ধিারতি হয়। সূচকরে অন্যতম দকিগুলো হলো : ভাষায় কথা বলা জনসংখ্যা, জডিপি, আর্ন্তজাতকি যোগাযোগ, কূটনীত, ট্যুরজিম, শক্ষিা, সংস্কৃত, সাহত্যি ও হরেটিজে। মূলত এসব দকি থকেে আরবি ভাষা বশ্বিরে অন্যতম শক্তশিালী ভাষা। প্রাচীনপন্থী ট্র্র্যাডশিনাল আরবরি মোড়ক থকেে বরেয়িে আলট্রা মর্ডান আরবি এখন পৃথবিীর যে কোন সাহত্যি বা সংস্কৃতকিে দাবড়ানোর ক্ষমতা র্অজনরে পথ। নাগবি মাহফুজ নোবলে, খললি জবিরানরে স্বাধকিার অথবা আদোনসিরে বদ্রিোহী চতেনা পৃথবিীর সাহত্যিপ্রমেী মানুষদরে হৃদয়কে র্স্পশ করছে। আরবি রক ও পপ সংগীত রকচে আরবি বা আরব ফোক ডন্সে এখন বশ্বিরে ভ্রমণপ্রমেীদরে অন্যতম আর্কষণ। আর পরিামডি বা সকল নবী-রাসূলরে র্তীথস্থান, মুসলমিদরে কাছে মক্কা-মদনিার র্মযাদার বষিয়টতিো আছইে। স্বাধীন বশিটি দশেরে রাষ্ট্রীয় ভাষা হসিবেে আরবকিে বশ্বিরে অন্যতম প্রধান র্অথনতৈকি অঞ্চল হসিবেওে দখো হয়। ২০১৩ সালরে যুক্তরাষ্ট্ররে বদিশেী শক্ষার্থীদরে ওপর জরপিে দখেো গছেে জাপানি ও চীনরে শক্ষর্িাথীদরে পরইে আরবি ভাষাভাষী শক্ষার্থীদরে অবস্থান। আর বশ্বিরাজনীতরি প্রাণকন্দ্রে হসিবেে মধ্যপ্রাচ্যকে অভহিতি করলে অত্যুক্তি হবে না। র্বতমান পৃথবিীর র্অথনীতরি অন্যতম প্রধান চালকিাশক্তি তলেবাজাররে একক র্কতৃত্ব আরবদরে হাতইে। দুবাইয়রে আকাশচুম্বী অট্টালকিা তাদরে ভশিনরে অংশীদার। বশ্বিরে অন্যতম শ্রমনর্ভির বাজার বলতে মধ্যপ্রাচ্যরে বাজারকইে বুঝানো হয়। বশ্বিরে ২.৫ বলিয়িন ডলাররে বশিাল র্অথনীতরি বাজার ক্যাপটিলে র্অথনীতরি অন্যতম আর্কষণীয় কন্দ্রে। আর মূলত আল-কুরআন ও রাসূল (সা)-এর ভাষা হসিবেে আরবি এখন পৃথবিীর আনাচে কানাচরে মুসলমানদরে র্ধমীয় আবগেরে ভাষা। কূটনতৈকি ভাষায় বলা হয়ে থাকে মধ্যপ্রাচ্যই পৃথবিীর মোড়ল বানায় আবার নামায়। র্অথাৎ আজকরে পরাশক্তি আমরেকিা অথবা আবার শক্তরি রাজ্যে ফরিে আসার রাশয়িার শক্তি প্রর্দশনরে বা অস্ত্র শান দয়োর ক্ষত্রেতো আরব বশ্বি। আমরা বশ্বি র্অথনীত, সমাজ-সংস্কৃতিি কিংবা রাজনীতি যে কোন দকি থকেইে আরবি ভাষাকে বশ্বিরে গুরুত্বর্পূণ অবস্থানে আছে তা বলতইে পার। আরবদরে সাথে বাংলাদশেরে সর্ম্পক অত্যন্ত নবিড়ি এ কথা বলার অপক্ষো রাখে না। স্বাধীনতা-পরর্বতী সময়ে পছিয়িে পড়লওে অল্প কছিুদনিরে মধ্যইে আরব বশ্বিরে সাথে আমাদরে সর্ম্পক নবিড়ি হতে থাক। ইরাকসহ কয়কেটি আরব দশে প্রথমদকিইে বাংলাদশেকে স্বীকৃতি দয়ে। ধীরে ধীরে আশরি দশক থকেে মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদশেরে অন্যতম শ্রমবাজার হয়ে ওঠ। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়রে এক সূত্র মতে কবেল সৌদি আরবইে বাংলাদশেরে ১.৯ মলিয়িন শ্রমকি কাজ করনে। আর বসেরকারি হসিবেে তা প্রায় ২.৫ মলিয়িন। সৌদি আরবরে শ্রমবাজাররে ২৭% বাংলাদশেী শ্রমকিরা পূরণ করছনে। ইইউতে ১.১ মলিয়িন আর কাতারে পয়ন্টে ১ মলিয়িন। ঠকি এমনভিাবে বাহরাইন ওমান ও কুয়তেসহ অন্যান্য আরব দশেে বাংলাদশেরে শ্রমকিরা সুনামরে সাথে কাজ করছনে। বাংলাদশেে বদিশেী রমেট্যিান্সরে প্রায় ৬৩% আরবি ভাষাভাষী মধ্যপ্রাচ্যরে দশেগুলো থকেে আমাদরে র্অথনীততিে যোগ হচ্ছ। এতে বিশাল শ্রমবাজাররে যে রমেট্যিান্স আমরা পাচ্ছি তার চয়েে অনকে বশেি টাকা ভারত বা পাকস্তিান নয়িে যাচ্ছে তাদরে দক্ষ জনশক্তি প্ররেণরে মধ্য দয়ি।ইদানীং নপোলও আমাদরে প্রতদ্বিন্দ্বী হয়ে উঠছ। আরব বশ্বিরে বাজার দখলে রাখার ব্যাপারে র্বতমানে ভারত ও চীন খুবই সরিয়িাস। মধ্যপ্রাচ্যরে এমন কোন সক্টের নইে যখোনে ভারতীয়দরে উপস্থতিি নইে। শ্রমনর্ভির সক্টের থকেে টকেনলজনির্ভির সক্টেরে ভারতীয়দরে একচটেয়িা প্রাধান্য। বাংলাদশেী দশজন শ্রমকি মাথার ঘাম পায়ে ফলেে যে টাকা র্অজন কর, একজন ভারতীয় ফোরম্যান এর চয়েে অনকে বশেি র্অথ র্অজন কর। আরব বশ্বিে ভারতীয় বাজার রক্ষা, শ্রমকিদরে অধকিার ও সুরক্ষায় ভারত সরকাররে বশিষে নজরদারি তাদরে সফলতার অন্যতম কারণ। আর ভারতীয় কূটনীতকিদরে আরবি ভাষার দক্ষতাও এক্ষত্রেে ব্যাপক কাজ কর। আমি ইংল্যান্ডে থাকাকালীন এক ভারতীয় কূটনতৈকিরে সাথে সখ্য গড়ে উঠছেলি। তাকে প্রশ্ন করছেলিাম কাশ্মরি ইস্যুতে ভারতীয়দরে কাছে পাকস্তিান কূটনতৈকিভাবে হরেে যায় কনে? তনিি বলছেলিনে, অনকেগুলো কারণরে মধ্যে অন্যতম হলো ভাষা। ভারতীয় কূটনীতকিরা আরবি জানার কারণে আরবি ভাষাভাষী দশেে যভোবে নজিদেরে যৌক্তকিতা তুলে ধরতে পারে পাকস্তিানি কূটনীতকিরা তা পারে না। তার কথার সত্যতা আমি দল্লিরি জাময়ো মল্লিয়িাতে দখেছে। সখোনে আধুনকি আরবি ভাষা ইনস্টটিউিটে সরকাররে পরকিল্পনা মাফকি আরব দশেরে জন্য নয়িোগকৃত কূটনীতকিদরে আরবি ভাষা শক্ষিা দয়ো হয়। সরকাররে এসব পরকিল্পনার রাজনীতি ও র্অথনীততিে সুফল বয়ে আনছ। কন্তিু এত বড় র্অথনতৈকি বাজার ধরে রাখা বা সম্প্রসারণরে আমাদরে বশিষে কোনো প্রস্তুতি বা পরকিল্পনা আছে কি? আমাদরে দশেরে যসেব কূটনীতকি আরব রাষ্ট্রগুলোতে পাঠানো তার কয়জন আরবি জাননে? সরকাররে উচ্চর্পযায়ে এ বষিয়ে আদৌ কোনো পরকিল্পনা আছে বলে মনে হয় না। কছিু দনি র্পূবে শক্ষিা মন্ত্রণালয় ভাষা শক্ষিার ওপর একটি প্রকল্প চালু করছেে এতে আরবি শক্ষিার অবস্থা খুবই করুণ। এমন সব স্থানে বা কলজেে এসব র্কোস চালু করা হয়ছেে সখোনে সাধারণ লোকজনরে চলাফরো খুবই কম। আবার মধ্যপ্রাচ্যে আমাদরে মহলিা শ্রমকিদরে পাঠানোর জন্য কছিু আরবি ওর্য়াড মুখস্থ করানোর যে সাজশেন করা হয়ছেে এবং বভিন্নি টকেনক্যিাল স্কুলে পড়ানো হচ্ছে তা রীতমিতো হাস্যকর। টকেনক্যিালরে যে ইনস্ট্রাকটর এ বষিয়ে মহলিাদরে পড়ান তারা নজিরোও আরবি জানে না। আরবরি বাংলা উচ্চারণ পড়ে আরবি পড়ান। এরূপ একটি প্রতষ্ঠিানরে প্রন্সিপিালকে আমি জজ্ঞিাসা করছেলিাম, আপনারা কি আরবি জানা কাউকে নতিে পারনে না? তনিি আইনি সীমাবদ্ধতার কথা বলে এড়য়িে যান। এতো গলে সরকারি সক্টেরে উদাসীনতার কথা। কন্তিু আমাদরে দশেে হাজার হাজার আলয়িা ও কওমি মাদরাসা ও বশ্বিবদ্যিালয় র্পযায়রে আরবি বভিাগরে তারা আরবি ভাষাকে কবেল কুরআন হাদসি শক্ষিার র্ধমীয় দায়ত্বিরে জন্যই আরবি পড়ান নাকি এ ভাষাকে বাংলাদশেে অন্যান্য ভাষার ন্যায় সমৃদ্ধ সাহত্যিরে ও র্অথনীতরি ভাষা করতে চান? এ প্রশ্নটি সামনে চলে এসছে। আরবি শক্ষিার খাতে অগোছালো হলওে সরকারি বসেরকারি বনিয়িোগ একবোরে কম নয়। বাংলাদশেরে প্রথম সাররি সকল বশ্বিবদ্যিালয়ে আরবি বভিাগ আছ। আরবি বভিাগরে শক্ষিকদরে পাণ্ডত্যিরে ব্যাপারে কোনো বর্তিক নইে তবে তারা আরবি ভাষাকে এদশেরে সাহত্যিাঙ্গনে প্রতষ্ঠিার চয়েে ইসলামকি বষিয়ে কাজ করতে পছন্দ করনে বশে।আরবি সাহত্যিরে যে বশ্বৈকি র্মযাদার্পূণ একটি অবস্থান আছে তা তুলে ধরতে তারা অনকেটাই র্ব্যথ হয়ছেনে। বাংলাদশেরে সাহত্যিাঙ্গনে আরবি সাহত্যি সর্ম্পকে যতটুকু আলোচনা আছে তা ইংরজেি থকেে অনুবাদ। তবে আশার কথা ইদানীং কছিু আরবি গবষেক তরৈি হয়ছেনে তারা মূল আরবি সাহত্যিরে অনুবাদ নয়িে কাজ করছনে। সাহত্যি সংশ্লষ্টি অনকেরে সাথে কথা বলে আশ্বস্ত হয়ছেি তারা নজিদেরে বভিাগে ‘বজিনসে অ্যারাবকি’ নামে র্কোস খোলারও চন্তিা করছনে। এসব আশার কথা। তবে মনে রাখতে হব, অর্থনতৈকি সুবধিা নজিদেরে করায়ত্ত করার জন্য বশ্বিরে সকল দশে নজিদেরে সাধ্যমত চষ্টো চালয়িে যাচ্ছ। এক্ষত্রেে আমরা অনকেটাই পছেন। আরবদরে বাজার আর বশেদিনি সবোশ্রমনর্ভির থাকবে না। সবোশ্রম থকেে তা সৃজনশীল শ্রমবাজার বা টকেনো শ্রমবাজাররে দকিে যাচ্ছ। এ বাজারকে নজিদেরে করায়ত্ত রাখতে র্ধমীয় ও সামাজকি র্অথনীতরি সমন্বতি প্রচষ্টো যমেন নতিে হবে তমেনি সরকারকওে আরব দশেগুলোর কবেল শ্রমবাজার নয় শক্ষিা, চকিৎিসা, টকেনো ও র্ধমীয় র্অথনীতরি বাজার ধরার ব্যাপক পরকিল্পনা নতিে হব। মাদরাসায় কমউিনকিটেভি আরবি ল্যাংগুয়জে বষিয়ক শক্ষিায় গুরুত্ব দতিে হব। বশ্বিবদ্যিালয় র্পযায়ে আরবি ভাষা ও আরববশ্বি গবষেণার জন্য মডিলে ইস্ট ইনস্টটিউিট খুলতে হব। লখেক : অধ্যাপক, ইসলামী বশ্বিবদ্যিালয়

আপনার মন্তব্য লিখুন

কপিরাইট © বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির